শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

খায়রুজ্জামান সাদেক

সেমিকোলন ও রবীন্দ্রনাথ


সেমিকোলনের পর সেই শব্দ যুতসই বসে গেল
বলিষ্ঠ বলছি, তুমি শুনে যাও সখা
একটা ভিরমি থেকে হুঁকোর গন্ধ পাচ্ছি যদিও
টিকিগুলো অবাক করে কপালে উঠলে
টিপ সম্বোধন থেকে বেরিয়ে এলেন রবীন্দ্রনাথ
কাছে দূরে পৌষ সংক্রান্তির রমণীয় বুদবুদ

অমৃত সুধা গড়িয়ে যায় গানে, তারও অপার
মন হয় চিরবসন্তে জেগে উঠছি যেন
বাস্তব অবাস্তবের হাইফেন কুলায় যাক
উচ্চারিত নিখাদ ব্যঞ্জন বিলাস থেকে 
অনেক না পারার আকুতিতেও, আমার নিজের করে 
স্ব-নিষ্ঠ সেমিকোলনের পাশে বেঁচে যান রবীন্দ্রনাথ।

প্রগলভ নয়, অনুস্বর থেকে দ্যোতক চিনেছি
যার প্রতি পলে হাওয়া লেগে এখনও তিনি বড় হয়ে ওঠেন
নিজ কানে শুনতে পাই প্রতিদিন জন্মদিনের গান
আমার পাশে এসে আজ বসেছেন রবীন্দ্রনাথ-
পার্শ্বক্রিয়া তোমায় চেনে, মুছে যায় সেমিকোলন...  



কররেখা 


ছিল উন্মন জলাধার নদের গহীন
তৃষ্ণা প্রপঞ্চ মেরুন বা গোলাপি
রোদ উঠলে সানাই সানাই
মেঘ করলে কালো
প্রতিবেশী আবেশটাই চমকাল

ঠোঁটের মিহি-ভাঁজে অনেক ভাষা 
ফুটে চৌকো শ্লেষ আঁকড়া ট্রেন
গুনে দেখি তারে; যথেচ্ছ তারে কাটা
চিনি-দানার মতো মিহি হয়ে আছে

নদী সঙ্গমে চলে গেছে কররেখা
বিভূঁই বিভূতি রেখে- বাঁ’হাতে।



স্ফীত পর্যালোচনা

বাছাই পর্বের পর উঠে যায়
বেত ঝুড়ি থেকে হাওলা
অমলিন সুতোর বুনন থেকে গিঁঠ
আনকোরা নয় এ কথা-
ঝরাপাতার রূপদান আর
মুকুলের এই আসি বাঁচিয়ে রাখো তাই
সহবতে যদি নাও ছাড়ে
যদিও পালা ঋতু মেখলা পাখির উড়ান
জানিয়ে দেয় কীটের উদর থেকে
আসছে মৌসুমে শস্যের মৌন বিলাপ
নাড়ীপর্বের এই ক্ষতি না কাটলেও আমাদের
স্ফীত পর্যালোচনা হাত পাতে বৃষ্টির দিকে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন