বৃষ্টি নামে পোকাদের ঝলমলে শরীরে
...তোকে অভিনন্দন জানানোর আয়োজনে বৃষ্টি
নামে পোকাদের ঝলমলে শরীরে। পরাগায়নের উৎসবে আইরির বাগানে বসে শিমফুলের মেলা।
দ্যাখ, বাঁশঝাড়ের ন্যাড়ামাথায় ধোঁয়াশা কাটিয়ে আপ্লুত হয়ে থাকে
পাখিরা। তবু
মেঘের ভগ্নাংশ হয়ে থাকবি?
ঘ্রাণ
কলতলায় স্নান সারে শালিকগুলো। ডানা ঝাপটে ঝেড়ে ফেলে পালকের জল।
ওদের স্নান দেখতে দেখতে পুরোদস্তুর ছায়া ফেলতে শিখেছে একটা দুপুর। একদিন এখানে ইউক্লিপটাসের
মসৃণ ত্বকে চুমু খেতো আকাশ।
ফিরে আসার পথ নেই, তবু ফিরে ফিরে আসছে কত
কি নতুন ভঙ্গিমায়! আজ যেমন ভোর হতে
না হতেই চুমু খেতে
শিখেছে শিউলি।
ট্রেনের হুইসেলে প্রার্থনা হয়ে উঠছো তুমি
যতই কুয়াশা জাপটে ধরুক শরীরের কোষ, মাঝনদীতে ডুবেছে শীত।
মাছের ঠোকর খেতে খেতে একদিন ঠিক চিনে নেবে জলজীবনের কবিতা। উপেক্ষার কবিতায় ভিড়ে
আছে বিদেশী পারফিউম। এই ব্র্যান্ডে বিক্রি হবে লোমে বোনা চাদর?
পাখিদের সুখ ঠিক ফিরে পাবে রোদ খোলার কৌশল। ঢেউয়ের আলিঙ্গন
শুষে নেবে বিগত প্রেম। অথচ রাত বাড়ছে। ট্রেনের হুইসেলে প্রার্থনা হয়ে উঠছো তুমি।
দ্বিতীয় সোনালুভুল
চায়ে চুমুক রেখে তোমার ঠোঁটে ধোঁয়া ছাড়ে শীতের সকাল। কুয়াশা
টপকে সারাদিন পর আমাদের ঘরে আপ্লুত হয় রোদ। তবু একটা ভারসাম্যহীন
সময়ের দিকেই এগিয়ে যাবে আগামী বছর। ‘উনো বর্ষার দুনো শীত’-এর হিসাবেই আমরা অপেক্ষা করতে থাকবো...
অথচ বসন্তের রেশ টেনে রাখবে না সোনালু ফুল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন