পাপী
মুছি-মুছি বারংবার
হাতে-হাত মনে-মন
চোখে-চোখ ভাবে-ভাব
বারংবার।
তবু যায় না মুছে ফেলা
মনের কালিমা
যতবার মুছি
ততবার ভেসে উঠে
বারংবার।
হিংসা ক্রোধ আর অশ্লীল সভ্যতা
ফিরে ফিরে আসে মনে-প্রাণে
ওর-তার-তোমার-আমার
বারংবার।
কেন-কি করি-কোথা যাই
হবে কি কোনোদিন দেখা
মহাত্মার?
নয় নয় হবে কি তবে জয়
এই মিথ্যার স্রোতে দাঁড়িয়ে
কেউ ঘোষণা দেবে কি স্পষ্ট করে--
‘আমি পাপী’।
কাল দেহ-মনে
মোছেনি তাই আজও
প্রতিহিংসার রূপকথা।
তোমায় কেউ চেনেনি
তোমায় চেনে না কেউ, তোমার পরিজন, দুধের মাছি বন্ধুরা
ঈর্ষান্বিত শত্রু, হিংসুটে নিন্দুক - এমনকি বাড়ির পাহারাদার কুকুরটি পর্যন্ত
তোমার সকাল বিকেলের সঙ্গীরা, আর তোমার জীবনের অস্পৃশ্য ‘না’ মানুষেরা;
কেউ না, কেউ চিনতেই বুঝতেই পারেনি,
সবার ধারণা, তুমি মরে গেছ সেই কবে।
আর বর্তমান তুমি এক জীবন্মৃত রোবট,
ওরা সকলেই তোমাকে তাদের মনের তুলিতে নিজ স্বার্থ উদ্ধারে
সাজিয়ে রেখেছে; দিনের পর দিন... মাসের পর মাস...
বছর... যুগ...
কেউ চেনে না, কেউ জানে না
শুধু মায়াবতী চেনে
শুধু মায়াবতী জানে,
‘মায়ান’ বলে যাকে তুমি সোহাগ ভরে ডাকো!
মায়াবতী জানে তুমি কশ্যপ - অদিতি পুত্র, আগুন পাখি;
তুমি পূষা, তুমি মিত্র; তুমি মায়াবতীর সূর্য।
তোমার আছে রঙধনুর সাতটি রঙে রাঙানো মন,
যা দিয়ে তুমি সপ্তাশ্ববাহিত রথের মতো
মায়াবতীর মনের আকাশে ঘুরে ঘুরে
ইন্দ্রধনু বাজাও, শিবের গান গাও।
তোমায় কেউ চিনতে পারেনি, কেউ জানতে পারেনি,
শুধু চিনেছে মায়াবতী, শুধু জেনেছে মায়াবতী;
তাই সে বৈশাখের ঝড় হয়ে
বর্ষার বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায়
শরতের সাদা মেঘের ভেলায়
হেমন্তের নবান্নে
শীতের ঝরা পাতার ভাঁজে ভাঁজে
আর বসন্তের ফুলের বাসরে
তোমার যশোগান করে।
মায়াবতী তোমার উজ্জ্বল চোখ,
নিষ্পাপ হাসি আর বিষাদ মাখা ভালোবাসার কথা
প্রতিটি ভোরে প্রার্থনা সঙ্গীতের সময় স্তব করে
পৃথিবীময় জানান দেয়,
তাই তো প্রতিটি ভোর আসে সূর্যকে সাথে নিয়ে
সকল মিথ্যেকে স্তব্ধ করে।
শীতের ঝরা পাতার ভাঁজে ভাঁজে
আর বসন্তের ফুলের বাসরে
তোমার যশোগান করে।
মায়াবতী তোমার উজ্জ্বল চোখ,
নিষ্পাপ হাসি আর বিষাদ মাখা ভালোবাসার কথা
প্রতিটি ভোরে প্রার্থনা সঙ্গীতের সময় স্তব করে
পৃথিবীময় জানান দেয়,
তাই তো প্রতিটি ভোর আসে সূর্যকে সাথে নিয়ে
সকল মিথ্যেকে স্তব্ধ করে।
আজ কি সেই দিন ? এখন কি সেই মাস ?
আমি করব না আমার দাবি পরিত্যাগ
আমি কতকটা সময় ফেলেছি হারিয়ে
মৃত ঘড়ির কাঁটা স্থির বেজে চলেছে টিক টিক...
আমার ক্লান্ত করুণ চোখ দুটি জানালার গ্রিল
সংলগ্ন বাগান, বুনো আগাছার ঝোপঝাড়
সব কিছু ছাড়িয়ে সুদূরে তাকিয়ে অপেক্ষা করে
কিছু কষ্ট যন্ত্রণা মাখা বিশ্বাস আর ভালোবাসার জন্য।
আমাদের সেই হারিয়ে ফেলা সময়
অচেনা মানুষের স্রোতে হারিয়ে গেছে
নিজেদের সময়কে হারিয়ে যেতে দিতে হয় না
দেরি হলেও নিজেদের সময়কে খুজে নিতে হয়।
কেউ কি জানে প্রেমের শুদ্ধ পথ কোনটি?
কারো জানা নেই, হাজারো ভিড়ে প্রিয় মুখের সন্ধান রহস্য।
বর্ণীল স্কিনের বর্ণীল চোখের আলোর চেয়েও শক্তিশালী
সেই চন্দ্রপ্রভা! তারার আলোয় বিচ্ছুরিত!
খোলা জানালার এপাশে আবদ্ধ থেকেই আমি এঁকে চলেছি
একটি ডায়েরির পাতায় তোমার অস্পষ্ট মুখের ছবি,
নিঃসঙ্গ বেদনার্ত শব্দগুলো আমাকে কাঁদায়
তবু দেবদূতেরা আমার স্বপ্নদর্শী চোখ দুটোকে তোমার উপর ক্লান্ত করেনি।
দিন গড়িয়ে সন্ধ্যার গাঢ় রঙে চাপা পড়ে না স্বপ্নগুলো
পাখিদের গান যেন তাদের খুঁজে খুঁজে ফেরে...
শুধু একটি বৃষ্টির সন্ধ্যার জন্য
চন্দ্রপ্রভায় লেখা তারাদের রঙে অংকিত
স্বপ্নগুলো।
আমি জানিনা; একদিন
হয়তো কোনো একদিন
এই জানালার গ্রিলে তার হাতের ছোঁয়া পড়বে,
চন্দ্রপ্রভায় লেখা তারার আলোয় অঙ্কিত
সেই মুখ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন