আসমা অধরা
জিরো পয়েন্ট
১
বিষ, বিষাদ আর আঁধারে
খানিক স্পিরিট ঘষে দেওয়া যায়,
চোখের কোণের ক্ষয়িষ্ণুতায়
গ্লিসারিনের কোনো ভূমিকাই ছিল না যদিও!
আঁধারের যবনিকায় ফের পূর্ণগ্রহণ প্রত্যাশা,
ডুবে থাকো অন্তর - আরো দুটো পদ্মকুঁড়িতে
জমানো মধুর প্রলেপ দিয়ে বিষাক্ততায়;
কেন তাপমান নেমে আসে শূন্যের কোঠায়?
গ্যালভানাইজিং দহনে?
লুব্রিকেন্ট দিয়ে কি হৃদয় চলেছে কোনোদিন?
২
ব্যক্তিগত কিছু ব্যর্থতায়
নিশ্চুপ আধখানা চাঁদ
ক্যানভাস, ইজেল আর তুলিতে
ব্যাপ্ত কষ্টেরা নিজেই করে শোরগোল।
সাজাতে অন্য ভুবন,
আঁকিয়ে হাতে মাখামাখি বিধৃত কিছু রঙ...
৩
ফাটল ধরে আসা কাচের মন
জড়ো করা টুকরোয় আগুন জ্বেলে দিলে;
সেখানে এক কঙ্কাল দেখা যায়!
বড্ড গরমিল ছিল সে এনাটমির ক্লাস
জড়ো পদার্থেও হয় বুঝি মোহন সর্বনাশ-
ক্ষয়িষ্ণুতাই কি বিনাশ, অথবা বিন্যাস!
৪
কিছু পূর্ণিমা, অমাবস্যা বা
ততোধিক কালো স্মৃতি,
আরো কিছু অন্তরাল,
কালো হয়ে আসা শুকনো ফুল,
ভাঙ্গা বোতাম, তেল চটচটে খাম
কখনো সুখে আধবোজা চোখ...
ক্রমশঃ ক্ষয়িষ্ণু হতে হতে ফিকে;
এ ছাড়া আর কিছু ঠাকুরমার ঝুলিতে
দিনকে দিন হাতড়েও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর!
ব্যক্তিগত ভালোবাসায় নিশ্চুপ চিলেকোঠা!
৫
একাকী হিমঘরে মৃত্যুর পর
পরাণপাখি ছেড়ে গেলে
পড়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত
মৃতদেহ ঠিক
কতক্ষণ পর গন্ধ ছড়ায়?
কতঘন্টা পর শবদেহ কাটাকুটি করে ডোম
বের হয় কি হৃদয় চিরে
প্রকৃত মৃত্যুর কারণ?
bah!!
উত্তরমুছুন