সোনালি বেগম
হুইলচেয়ার
উদ্বিগ্ন গোধুলি
ধারাবাহিক প্রাচীর
ছিন্ন পর্বত
ঝর্নার জল কলরোল
জীবন-মৃত্যুর
দোলনায় ডাইনিংটেবিল
ফার্ম-হাউস
উঁচুনিচু টিলা।
কতগুলো বছর
হাসিখেলা
বাগানভর্তি ফুল
কাঠবেড়ালি আর পাখি
চিমনির ধোঁয়া
দু-বেলা আর কালো চোখ
বাতাস ঠেলা দিত
খুব জানালার শার্সি
ঋতুর গাঢ়
পরিবর্তন ভীত-সন্ত্রস্ত কখনো
ছায়া-ছায়া হুইলচেয়ার
নড়েচড়ে জানান দিচ্ছে।
অপলক
হাঁটু মুড়ে বসে
মেঝের উপর
এককাপ কফি ভাগ
করে ধোঁয়া-ধোঁয়াই।
অসংখ্য ঘর শরীর জুড়ে
আলপিন
দৃঢ় গাছের পাতায়
আঁকা উপত্যকা।
ঝোপঝাড় ঘুরে ঘুরে
হাজার বছর হয়তো
শস্যদানা
ইঁদুরশাবক আর অসংখ্য গর্ত।
লিউকোমিয়া নিয়ে
আর কত দিন!
হেসে উঠছে রাত,
দিন ছোট হয়ে আসছে
অপলক দূরত্বে
দ্রুতগামী অশ্ব --
মৃত্যু খুব সুন্দর।
পেরামবুলেটর
আর ফিরব না কখনো
এই লাল রঙের ঘর।
ফটোগ্রাফ শৈশব
কৈশোর যৌবন
খুব দ্রুত সেই
গোধুলিলগ্নে
বাতাসে মর্মরধ্বনি শান্ত কবরিস্তান।
হতাশা ছিল না,
রাগও নয় --
সাজানো জাদুঘর
ফুলদানি অন্ধকার।
পর্দা উড়ে উড়ে
পাখির ডানায়
অস্থির
পেরামবুলেটর
জলপটি উষ্ণ কপাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন