বিশ্বজিৎ বর্মন
আদি ও অন্ত
রোদ যত তীব্র হয় আরো ক্ষুরধার হয়
তোমার ভেতর প্রস্তরযুগ জাগ্রত হতে
থাকে।
তুমি জন্তুদের দিকে ধাওয়া করতে করতে
সামগ্রিক বৌদি হয়ে ওঠো
খুনসুটি ঘাম
আরো কতদূর গেলে সাবান হতে পারবো তোমার
আরো কতদূর দৌড়োলে ছোট ছোট সেপটিপিনের
কসরত বুঝতে পারবো
তুমি শেখাও প্লিজ
প্লিজ তুমি শেখাও ভূমিরূপ। গতিপথ। আর আর
মোহনার দিকে যাওয়া ছোট ছোট খুনসুটি ঘাম
সভ্যতা কীভাবে গড়ে ওঠে
নতুন একটা বাড়ি হচ্ছে। বাড়িটার জানালা দিয়ে তার যে নিজস্ব আকাশ, উক্ত
আকাশের দু’য়েকটা পাখি এই বাড়ির শুকোতে দেওয়া চালডাল কিছু কৌশল নিয়ে
আবার চলে যায়। আবার আসে। এই খেলা চলতে চলতে একদিন নতুন বাড়ির
আনমনা এক যুবতী হাঁস থপথপ করে এগিয়ে আসে, তার পাখায় পরকীয়া গন্ধ।
গন্ধ, তার মানে কী মেঘের ভেতর জল, জলের ভেতর মৎস্যকন্যা সারা জীবন
সাঁতার কাটবে, গা শুকোবে না অন্য আঁতর জলে... এই ভাবতে ভাবতে কীভাবে
যেন দু’বাড়িতেই হোয়াটস্আপ আর ফেসবুকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, ওই সম্পর্কই
পরবর্তীতে জন্ম দিয়ে গেছে হরপ্পা মহেঞ্জদড়ো আর কিছু খুচরো কলোনি কংকাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন