ধীমান চক্রবর্তী
ডানা
ভিজে ঠোঁটের রঙ খুলে ঝরে
পড়ে
ক্যানভাসের লালা। মুখ
জ্বালিয়ে দিতে
এগিয়ে আসা আগুন ওই
অন্ধকারে
বুঝতে পারে, তুমি
অন্যদের থেকে আলাদা।
দরজা খুললে
অস্ত্রোপচারের শব্দ,
লিভিংরুমে বিড়ালের পাশে
বসে
লোম ফোলাচ্ছে। শীতকালে
কেউ কেউ
শরীর জ্বালিয়ে নিজের
বাড়িকে তাপ দেয়।
চেয়ারে বসে অল্প অল্প
মাথা দোলায়
মনসুন। সে রঙিন কীসব
ছবির সাথে
জড়ো করছে তনহাই।
একা চেয়ারে বসে খেতে
খেতে
বুঝতে পারছি, আয়নায় ফুটে
উঠবে
আমার উণষাটতম জন্মদিন,
যে কোনো
সময়েই। যে কোনো সময়েই
চশমার কাচে উড়ে যাবে
আমাদের বহুতল।
খেলার মৌসম
মেকআপ রুম, নির্দিষ্ট
হাসির গল্প
এবং জংলী প্রজাপতির
দোলনা, -- প্রতিদিন
রাত্রিবেলা ডায়েরি লেখা
আয়নার সামনে
বসে থাকে। পিচ রাস্তায়
হেঁটে যায়
জলের বোতল। মখমলি
হাসপাতাল
আজ দুপুরে ট্রেন মিস
করেছে। যা করার ছিল
তা তো করেছি, এই
চক্ষুহীন বেডরুমে জন্য,
তবু আমায় এড়িয়ে যায়
যাদুঘর।
ক্লান্ত সমুদ্রের
টর্চবাতি। আপেলের ওই
খোলা নাভি। পাশে বসে
জুয়া খেলে ছেঁড়া শাড়ির
পাড়।
জুয়া খেলে বিসর্জনের নখরগ্রন্থনী
আলগা মৌসম।
ইচ্ছের মৌসম
জলের সুতো দিয়ে সেলাইয়ের
ফোঁড় দিচ্ছ।
প্রতিবেশী বাড়ি হর্ন
দিয়ে ডাকে।
ভালোবাসার মুহূর্তগুলো
খুব দ্রুত ক্ষয়ে যায়,
মহাবিশ্ব থেকে ঝুলছে
রঙিন সুতো,
দু’চারটে পেপারব্যাক ও
ছোট্ট চড়াই।
আশ্বিনের গান এবং
স্মাইলি।
চামড়া খুলে খুলে যায়।
খাতায় গুনে তোলে
অট্টালিকা। দেখো – ঠোঁট
ফাঁক করা
হোমটাস্ক আর বাঙালি
চাঁদ।
ইচ্ছে আছে বলে জানালা
দিয়ে ঝুলছে ঝালর।
গাছে গাছে চৌরাস্তা,
ফিরতি ট্রেন।
আজ মোমবাতির মধ্যে গাইতে
গাইতে
দাঁড়িয়ে থাকলো আরশি।
দাঁড়িয়ে থাকলো আমাদের
বাচ্চা সাইকেল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন