দশে শূন্য
মেলে ধরা খাতা। দু' পাশে
বিস্তৃত সাদা পাতা। আঙুলের ফাঁকে চেপে ধরা সজাগ পেন্সিল। এগিয়ে চলে — এঁকেবেঁকে কখনো, কখনো সোজা, ধীরে
ধীরে। পেন্সিলের এক একটি ভাঁজে, তার সুচারু চালে তৈরি হয় সীমানা।
সাদা কাগজের উপরে ফুটে ওঠে একটি নির্দিষ্ট অবয়ব। একটি দেশ ভৌগোলিক
আকার ধারণ করে। সঠিক মাপ মতো। ভূগোলের পরীক্ষার খাতায়।
প্রশ্নপত্রে ছাপানো প্রশ্ন, পাঠ্য বইয়ের সিলেবাস মিলিয়ে গঠিত হয় সেই দেশ। স্মৃতির
কার্টোগ্রাফি থেকে তুলে আনা মানচিত্রের ছবি মিলিয়ে। অস্বস্তিকর খসখসে
শব্দ জাগিয়ে, দগদগে কালো দাগ ফেলে আঁকা সীমারেখা আলাদা করে পাশাপাশি দেশকে, ভাগ
করে। বিনিময়ে নম্বর আসে। দশে দশ।
দশ... নয়... আট...
ক্রমাগত কমতে থাকে কাউন্টিং।
খেয়ালী আঙুল, খামখেয়ালী
পেন্সিল।
বিচ্যুত নির্দিষ্ট গতিপথ,
অমান্য নির্ধারিত চুক্তি।
সীমানা লঙ্ঘিত হয়।
কেঁপে ওঠে স্থিতি।
দূরে বেজে ওঠে ঘণ্টা।
থমকে দাঁড়ায় মুহূর্ত।
শূন্যে এসে থামে কাউন্টিং।
শুরু হয় ফায়ারিং।
কালো মৃত্যুবুলেট ছুটে যায়
আর্তনাদী শিহরণ জাগিয়ে।
সাদা খাতা ভরে ওঠে লাল
ঢ্যাঁড়া চিহ্নে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন