মেঘ অদিতি
চিঠি
মাঝে মাঝে
বিদ্যুল্লতায়
দেখা দেয় মুখচ্ছবি
মাঝে মাঝে মনে পড়ে
দ্বিধার আরক মোড়া তোমার ঠিকানা
আমাদের পারা ও না পারার দিনে
যতদিন থাকা তার, সবটুকু বাঁচা?
বিরতিতে মনে পড়ে
কোনো কোনো বুনো রাতে
আমরাও ধুলোবালি
স্বরবর্ণ বদলে বদলে
লিখে গেছি নির্জনতার চিঠি...
ফিরছ না
সবুজ পাতার ভ্রম না কি দুরন্ত ডালিম, জানতে চেয়েছ?
আমি তো ভুলতে চেয়ে ছিন্নভিন্ন মাটির সীমানা ছেড়ে ডুবে
গেছি জলের অতলে। বিদায়ের আগে যারা ছেড়ে গেছে দ্বীপ
অথবা শিশু যে তখনও ছাড়েনি সে মায়ের স্তনের বোঁটা
বিদায়কালে তাকেও দেখে কেঁপে গেছি নিরন্তর আর তুমি
মাকুর ছন্দের তালে তালে দুলে উঠছ দমকা হাওয়ায়।
তোমার ধাতব মুখ ভেবে ভয়ে অনন্ত পাড়ি দিচ্ছে সাম্পান
তোমার ধাতব মুখ ভেবে ভয়ে খুলে যাচ্ছে সবুজ করোটি
তোমার ধাতব মুখ ভেবে ভয়ে ফিরে যাচ্ছে যাবতীয় স্পর্ধা
তোমার ধাতব মুখ ভেবে ভয়ে গুটিয়ে যাচ্ছে উড়ন্ত ডানা
তুমি ফিরছ না।
ভাসমান
(‘অনি’কে)
সমুদ্র সিম্ফনি!
অতটা ভাবিনি তো অনি!
‘মিউজিক ম্যান’
শোনামাত্র মনে হলো
দূর থেকে কেউ এসে আলো জ্বেলে গেল
ভিনদেশি অপরূপ পাখি, ঠোঁটে যার
লবঙ্গের ডাল
জানতাম, ছবিদের রয়, চোখে কথা কয়
বুকের ক্ষরণ জানা তখনও যে বাকি
হাঁ-মুখো
রত্নাকর দশ হাতে সুর ধুয়ে নিলে
হঠাৎ দরজা সব খুলে গেল হাওয়ার
দমকে
অপার শূন্যতা এসে ঘিরে নিতে নিতে
সমাধিতে দেখি কোনো এপিটাফ নেই
শুধু বহুদূরে, দেখা যায় গির্জার চূড়ো
ভাসমান ঘন্টাগুলো দিনরাত বাজে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন