(১)
পলকা বাতাসে ছিঁড়ে গেল--
বাতাস ভাসা উৎসর্গগুলি
ভেসে যাচ্ছে সময়ে
যতই আঘাত হানো
নাড়িয়ে দাও হৃদয় উৎস--
তুমি আসলে পাখির মতো।
(২)
ছবিতে কবিতা
একেক রকম ভেবে নিতে পারি
কিন্তু সেখানটাই তোমার মন গড়িয়ে যাচ্ছে--
যথেচ্ছা, আছে লাইনার মাপা সীমান্ত--
কিন্তু হিজলের ছায়া তোমায় আঁকতেই হবে।
(৩)
চৈতন্য আসলে হাওয়া
কর্পূর গন্ধ উবে যাবার প্রবণতা
ধরে রাখতে চাওয়ার বিবর্ণতা ধরা পড়ে,
মহাভারতের মতো চরিত্রগুলি হুবহু ছায়া হলেও
যদি ফিরে আসার দুর্দান্ত প্রয়াস হতো!
(৪)
গতানুগতিক থেকে ছিটকে যাবার প্রবণতায়
এমন কিছু হরকত -- হঠাৎ চোখে পরার মতো ব্যতিক্রমী কিছু
কলমের গতানুগতিক আটকে যাওয়া
কিছু জিজ্ঞাসা চিহ্ন নিয়ে যদি ভেবে মরি অবকাশ
তবু তো উৎসর্গ...
(৫)
সময়টা এটাই ছিল-- প্রতীক্ষা
দুর্দান্ত ধুলোর কবলে ধুলোর আস্তরণ
তছনছ সাজানো বাগান-- তবু এটাই সময় ছিল-- প্রতীক্ষা
জীবনটা হাওয়া হয়ে উবে গেল, সমস্ত রাজ্যপাট গুটিয়ে গেল--
বিবর্ণ এই সন্ধ্যায় তবু দাঁড়িয়ে আমি-- প্রতীক্ষা।
(৬)
ভাবনাগুলি গুটিয়ে এনে দেখি
অনেক মিলান গল্প কবিতার বীজ
উৎক্ষেপ ফুঁৎকারে যে সব গুটি ভাঙা তুলো ছেড়ে গেল হওয়ায়
ওরাও খেলা করে
খেলনা, নতজানু আমার ওপরে আকাশ--
প্রসারিত ভাবনাগুলির জন্মমৃত্যুর চোখে একটি একটি হলেও
সমগ্রতা এক-- খেলনা...
(৭)
জ্বর।
ভেজা চাদর মাথায় জড়ানো,
তবু তাপের সঞ্চালন কমেনি।
অথচ ত্রিতাপ সুখ দুঃখ যন্ত্রণার চেতনাই নাকি মানুষ,
এই তাপবহ যন্ত্রণাকে দূরে রাখার সূত্র জানা নেই!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন