বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪

০১) প্রণব বসুরায়


 
নিরুচ্চার

খুব হাঁকাহাঁকি শুনে, সে, ধীর পায়ে দরজা খুলল।
নেমে এলো উঠোনে।
দাঁড়াল লোকটির দিকে না তাকিয়ে। মুখ নিচু করে।
শুনল সব, নিজে থাকল নিরুচ্চার।
দম নিতেই হয়তো, হাঁকাহাঁকিতে ক্ষণ-বিরতি নামল।

সে, আবার ধীর পায়ে উঠোন মাড়িয়ে, সিঁড়ি মাড়িয়ে ঘরে উঠে গেল।

আগল দিল না



 দ্বি

কে জাগবে আমার জন্যে এবং জাগবে কেন
তার যেন আর সংসার নেই, পুত্র-কন্যা হেন
ফুলের গুচ্ছ, হাস্যমুখর, বিদ্যুৎ ঝলমলে
এমন সময় মন্দ কথা কেউ কখনো বলে?
   

থাকুক সে সব গুপ্তকথা, অন্য দিনে হবে
এখম দেখ মাছের ছবি, ...একটা কিছু খাবে
মাথার আমি দিব্যি দিলাম... পোশাক বদলে এসো
আমি যাচ্ছি শোয়ার ঘরে, সোফায় গিয়ে বসো





বেদনা—সংবেদনার সংলাপ

তখন তোমার সঙ্গে ছিল কেউ
তখন আমার সঙ্গে ছিল জলোচ্ছ্বাসের ঢেউ

শরীর ঘিরে ছিল কি বল্কল?
মনে পড়ে না, মনে পড়ে না, ঘুমের কলকল

আদ্যোপান্ত ভাবতে পারো আজ?
পারি, তবে থাক না ঢাকা, লাজ

আমার মনে এখনও কম্পন
জানি, জানি, আমারও স্পন্দন

তোমার ঘরে একটি একটি প্রদীপ জ্বালি –
পূর্ণ এসো, মন রেখেছি খালি...



কথা উপকথা শেষকথা    

কথা

হাতের তিলে ঠোঁট রাখলাম,
এমন উষ্ণ আজও সেটা!
ভেতর পুড়ছে অথৈ জলে
আয় না কাছে, ক্ষুধা মেটা

উপকথা

যাব তোর কাছে আবছা অন্ধকারে

যখনই ও ঘর সটান ঘুমিয়ে পড়ে
আজও আমি চুম্বন-দাগ দেখি
স্পষ্ট বুঝেছি নয় সে মিথ্যে, মেকি

শেষকথা

এরপরে শুনি বিদ্যুৎ চমকালো
বৃষ্টির জলে দুজনে সিক্ত হলো








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন