নখগুলিতে ঘনিয়ে আসছে...
আমার মধ্যে অজস্র
মৃত্যুর বাস।
চারপাশে আবার
অঙ্কুরিত মৃত্যু
যেখানে ঝরে পড়ছি এ যাবৎ কাল;
হয়তো প্রাচীন
সভ্যতায় হারিয়েছে মৃতপ্রায় নগরী,
কিছুকাল বৃষ্টিরা
শুয়েছিল কোনো রাত্রির কোলে
তাই শিশিরের চোখে
মেঘ বুলিয়েছে ঘুম
নক্ষত্ররা ধুমকেতু
জীবন পায় বারবার
কতবার জন্ম দিয়েছে
নক্ষত্র শিশু!
নগ্ন কীটেরা ঘৃণ্য দগদগে ঘা
বাঁচিয়ে রাখছে
নখগুলিতে ঘনিয়ে আসছে
তীব্র অন্ধকার
প্রাক সূর্যের জিভে
জল তেতে আসছে
আর শাঁখা পলা নিয়ে
কুলবধুর বিবস্ত্র কপাল...
এরপর
সুগন্ধি প্রজাপতি
হয়ে উঠলে
মাটি অন্তঃসত্ত্বা
হবে নতুন বীজে।
সুখে থাক ব্যতিক্রম
চেনা চেহারার
চোরাবাঁকে অন্ধকূপ ফেলে গেছি,
চোরকাঁটায় বিষ ঢেলে
দিয়েছি কালরাত্রিতে।
এক আকাশ মন্থন করেও
শিবির জোটেনি
বোহেমিয়ান জীবনে
ঢেউগুলি সুস্থ থাক
বেঁচে থাক গল্প সল্প...
কান্নারা জোনাকি হয়ে
উড়ে যাবে মহাবিশ্বে
তাই বুঝি পাথর ক্ষয়ে
নিষ্পেষিত মুহূর্ত
তবু তো মাটি জীবন পাবো
যদিও স্রোতগুলি
গুটিয়ে নিলে পড়ে থাকে
অস্থি কঙ্কালসার
শস্যহীন নগরী,
তবু সুখে থাক আরও
একটি ব্যতিক্রম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন