সিনি মিনি
সিমরান
তুমি আমায় ফিল্মি
বললে শ্রেয়সীদি? আমার গলার জোর নেই বলে! লাজুক! নাজুক! আমার মুখের মধ্যে ঝুঁকলে
তুমি এসারের সিঁড়ি দেখতে পাবে। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে কীভাবে উঠছো নামছো! তুমি নিজেই বুঝতে পারছ না! তুমি ভাবছ ইভিল ডেড-এর ভূতুড়ে সিঁড়ি দিয়ে
নামতে নামতে তুমি একটা অন্ধকার দরজার সামনে এবং সেই মুহূর্তে দরজার সামনের
ঘণ্টা বেজে উঠলো...
তুমি ভয় পেলে?
দৌড়ে পালাচ্ছ? আলো নেই! রাস্তা নেই!
তোমায় বলতে ভুলে
গেছি শ্রেয়সীদি, ওটা ঘন্টা না, ওটা আমার আলজিভ।
ওটা একটা চিৎকার,
বাজলো।
বাজাও বাজাও বাজাও
বাজাও বাজাও,
কলিংবেল!
বাসান্তি
সুন্দরী! তুমি!
তাই জাস্ট আয়না থেকে চোখ সরাতে পারছি না!
আয়না তোমার থেকে
চোখ সরাতেই তুমি হাতে চুড়ি নিলে, ছুরি নিলে।
এখন কোনটা তুমি
ইউজ করবে, সম্পূর্ণ তোমার
ব্যাপার।
তুমি আপ্রাণ
চেষ্টা করছ নিজেকে নিয়ে কিছু একটা করে চলার।
কী হতে চললে তুমি!
আয়না!
চুড়িও কেটে পড়ল।
ছুরিও।
এখন শুধু আমি
আয়নার এপার থেকে ওপারের বাসান্তিকে বলছি-
“বাসান্তি, তেরা
নাম ক্যায়া হ্যায়?”
চুড়ির টুকরো কাচ
ছুরির টুকরো রক্ত
মাখামাখি!
ন্যায়না
কে নেয়নি তোমায়! কে গো? দুটো সিনেমাতে হিরো’র সাথে বেঁচে থাকার
দুর্ভাগ্য হলো না! চলো আমরা
একসাথে মরে গিয়ে, না পাওয়াতেই বেঁচে যাই। লোকে আমাদের পরিবর্তনশীল
বলবে অন্তত। কী চড়াচ্চড় কালার! এত স্টাইল
আর ভাষা বিকৃতিতে আমি মরে যাচ্ছি জানেমন। এইসব
দূষণ পেরিয়ে চলো, আমরা
নতুন ভাবে মরার চেষ্টা করি, পুরনো প্লট
নতুন ব্যাটেলে ঢেলে। রূপবান কবি থেকে
অরূপবান
রেপিস্ট লেবু লেবু স্বরে জমিন ধরতি আসমান মন্দ্রাক।
আমরা
সমুদ্রে যাব। আহা ফিরব না আর! ল্যাংটি পায়ে খড়খড়ে পাহাড়ে উঠব।
পা তো
কাটবেই হানি! হাড়ও জ্বলে যাবে।
ঠিক
উত্তেজনার পিকে এসে ঝাঁপ মারব।
থুক!
ইহা একটি
বিশুদ্ধ পিক!
তার চিটচিটে
ছিটছিটে থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
সব্বাই ভালো থাকুন! J
খিঁক্...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন