সাপের শাপনামচা
একজাতীয় সাপ আর তার সাপুড়ে -- পরজীবীর প্রসাধনে চলে।
সাপটার বিষ মায়োটক্সিক (পেশির খাদক) ছিল -- সাপের মণি ছিল না কোনোদিন -- সাপের
দুধের শরীর নয়। সাপ খোলস ছাড়ে লুকিয়ে প্রতিদিন। সাপুড়ে রাতের বীণ চেতনা
খুলে বাজায়। রাজার মতো পেশি ঘুরিয়ে
ঘরের মধ্যে ঢোকে -- ক্যাবলাগোছের বউ -- কাপড় সরাও রানি -- খোলস খুলে এসো! জানো,
সাপটা আমায় ছোবল দিতে পারত, কিন্তু এখন বিষ নেই তো ওর, শুধুই খেলা দেখায়। তোমায় আমি নাভির নিচে বাজাব।
ও আমার
ক্যাবলাগোছের পাতলা শরীর নধর নধর বউ -- তোর চোখ বলব পটলচেঁরা ইতিবাচক -- ঠোঁট বলব
গোলাপজামুন -- নাক বলব বাঁশি -- শঙ্খিনী না পদ্মিনী -- ঘটে তুই সিঁদুর লাগাস --
পল্লবরা হাসে -- নরম হয়ে যাচ্ছিস। বুকের মধ্যে ভাঁজ দেখেছি -- খাদ্য তোকে ভাবি --
ও চামড়া প্রেম -- গাঁয়ের মোড়ল আছে -- আমাকে রাতের আখড়া টানে -- আকন্দের কষ দেখেছিস?
মাখাব বলে ঋতু টলমলিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকি --
তোর খনক থেকেই চুরি করব খিস্তি। ত্বকের মধ্যে --
চোখের মধ্যে টলমলেরা জল -- জলই আমার জীবন। পাপ সোহাগী -- খাপছাড়া
তাই ঝুপড়ি খুলে ওর চোখকে দেখি রোজ... ব্যবসারীতি -- গন্ধপ্রেম -- মুখচ্ছবি। ওরে তুই
নগ্ন হয়ে দাঁড়া -- আমারা দাঁড়ারা প্রবল -- পাপের চোখ আত্মা দেখে না -- ওসব দেখলে
দায় আসে -- দায় আসলে ভোগ কমে -- ভোগ কমলে আপস -- আপসরা সব অতৃপ্তির ভাঁড় -- শরীর
জুড়ে রক্ত রক্ত খেলা -- তোর উপবৃদ্ধি চোখ ধাঁধিয়ে দেয় -- খিদে আমার আরোহ -- অবরোহ।
“ও সাপুড়ে এভাবেই
তো শরীর স্রোতের মতো নাচে -- শক্তি বোঝে না! এই ছোট্ট ছোট্ট পুতুল -- টগবগিয়ে চলছে
-- ফাটল ধরলে পিঁপড়ে হয়ে যাবে! ও সব সাপের
শাপরা নিঃশ্বাসেই থাকে -- ধারা রেখার সংখ্যা জুড়ে পাপ বাড়ছে দারুণ...”
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনসাপের শাপনামচা বশ অন্যরকম হোয়েছে তানিয়া । ভালো লাগলো । এই সিরিজে আরও দু একটা লিো ।
মুছুন