ভিন্নমুখ
১.
স্যাল্যুট করো মৃতদের, মখমল খিদেকে
গামছা জানে ষোলোকলা, এ সময় শ্রেয় বরং
ব্লেডের মতো নীরবতা মেনে নেওয়া কয়েক মিনিট
২.
কুণ্ডলী খুলে ফেলে শ্মশানচারিণী
তার অবয়ব দিব্বি সর্পগন্ধা
শঙ্খের তীব্রতায় সে সমাপাতিত আগুন গান্ধার
৩.
আমার মঙ্গল কামনা করলেন মা
চোনা এগিয়ে ধর্মের ষাঁড়, মাঙ্গলিক শিক
মঙ্গল কামনা করো গাভীর
#
উপযুক্তপরী চর্চা দাও দুধের দোয়াত
৪.
প্লাসিকের মোড়ক ছিঁড়ে রাংতা বার করো
ভিতরে দেখে নাও কোনও প্রস্তাব আছে কিনা
ভিতরে দেখে ফেলে লজ্জিত হয় বহুজাতিক
রাখালিয়া ভাত
এবার কঞ্চি ঠেঙিয়ে চল রাখাল
আকাশে মুক্তো দেখি ফোঁটা মেঘে
দশমিকের কণা ভাত পেয়েছি
ওর
ঠোঁটে নুন
উনুন জ্বলছে মায়ের হাতে
পেটের মধ্যে মাছের আস্ত প্রতিবিম্ব দেখে
কাঁটা বাছি সন্তর্পণে
বাছতে বাছতে বেড়াল ডাকি সোগাগিনি
লেজ ফুলিয়ে চুমু দিয়ে আয়
এবার কব্জি ডোবালাম, সোনার
ভাত
ফুটো থালি
সাক্ষী রেখেছি রাই ও আমার
রন্ধনপ্রণালী
শববাহক
প্রিয় শববাহক, তোমার পায়ের ডিমে ব্যথা হয়নি তো!
কাঁধের হাড়ে? অনেক করেছ আজ
এইবার ফিরে যাও, বউটি অপেক্ষা করে আছে
গেটে লাগিয়ে রেখেছে সে মাধবীলতার গাছ
মন্থর পায়ে নদী ডিঙ্গিয়ে চলেন ওরা
কাঁধের হাড়ে? অনেক করেছ আজ
এইবার ফিরে যাও, বউটি অপেক্ষা করে আছে
গেটে লাগিয়ে রেখেছে সে মাধবীলতার গাছ
মন্থর পায়ে নদী ডিঙ্গিয়ে চলেন ওরা
কোমরে গামছা, ছিন্ন তালু, কাঁধ ভেঙে গেছে ভারে
এ-নদী পেরোতেই হবে সূর্যাস্তে, হাতে মাত্র একটা রাত্রি
কুয়াশায় মৃতদের মধ্যে দলছুট হয়ে
শেষ ফেরীটা ফিরে গেছে একটু আগে
শেষ ফেরীটা ফিরে গেছে একটু আগে
আগুনের রহস্য ভুলে বাউণ্ডুলে ছাই
পৃথিবী বলে, -- উড়ে যাও ভাই, উড়ে যাও ভাই
সন্তরণ প্রণালী ভুলে ভাসিয়ে দিয়েছ শব
কেউ জানত না তার জন্মরহস্য, তখনও আদমশুমারি হয়নি পৃথিবীর
তাকে আদর করে মুখে ঢালো দু'ফোঁটা জল
মাঙ্গলিক প্রার্থনায় সদ্যজাত শ্মশানযাত্রী
ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি
হে মাংস হে অস্থি
নগ্নপ্রত্যুহ
জোর গলায় বলব ভালোবাসি – কি করবি তখন?
দেবলী বছরভর আসে যায়, সম্পর্কে আরশি
পাখি পাখি আলো
তারপর গড়িয়ে যাব উন্মাদ বলে
চিল্লাতে চিল্লাতে পিছু নেবে
জাল ফেলো, আরও ভিটামিন ঢালো
আত্মহত্যা কোনও পন্থা নয়
নগ্ন হব না বলে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন