গগন ডুবুরি ও রংরুট পিওনের গন্ধ...
(এক)
বৃষ্টিদিনের ক্ষেত কিছু বা শরীরী
একটা গাছ
ঘরের শতচূর বদলে যাওয়া
চোখের পাতার নিচে আটকে
অবশিষ্ট সবুজ রঙ নিংড়ে নেমে এলো
চোখের
ভেতরেও
থেকে গেল কিছু পানীয়
নিজের ছায়ার সঙ্গে সমান সমান নেশা
পেটোয়ারি চালে চড়ুইভাতি
আদ্যনীল আঙুলটি তার দরজা...
তোমার ভানুমতী সীমার মতো
ফেনার মতো
মূক – অমলপারা
ভুস করে উঠে এলে তুমিই...
ভগ্নস্তূপে জোনাই জমেছে খানাখন্দে
দুফেরতা পাখির গায়ে বরষা ব্যথা
ছোপ ছোপ রঙ ছিল হলুদ কি বাহারি
পাড়ভাঙা হাবিজাবির মতো বস্তুভাবা তোর বুকে
হাইরাইজ
নামের
নরম...
(দুই)
হাজার
গণ্ডা
নকল
নিঃশ্বাসে
পাড়
ভেঙে
যায়
!...!
শূন্যতা লীন
পুরাঙ্গনাদের মধ্যে <তিনি'ই> শ্রেষ্ঠা কামুকী
যার স্তনদ্বয় ০ শূন্য ০ বর্তুল
করত - সদৃশ ঊরু
অঙ্গসৌষ্ঠবে যোজনগন্ধার
০ শূন্য ০ সৌরভ
০শূন্য ০ একটি অভিব্যক্তি>>>>>>>>>>
ঢেউ
ফেনা
তাপ
সুরসার
০শূন্য০
আদিম
মাতার
ফণা
০ শূন্য ০ অক্ষরের সব নীল রঙ
স্বপ্নে বোনা হয়েছিল
রোয়া হলো ভিড়ে...
(তিন)
উঠে পড়ে স্নান সারব স্নান সারতে সারতে ভাবব আজ আরেকবার দেখা হতে পারে কিনা
ও রমই ছল্লিবাজ ছোঁয়ার বদলে খুলব দরজা ঢুকব ঘরে দেখব কলসেন্টারের মতো ভগ্নদূত
দাঁড়িয়ে নীল শাড়ির ঘূর্ণিতে বিনি-সুতোয় বুনতে থাকা স্বচ্ছতোয়া ঠাস বুনটের চোখ
সহজিয়া বসন্তবউরির রাজবোল
একজন
নৈব্যক্তিক
দেখা
কেউ দেখতে পাচ্ছে না শুধু একজন মাত্র সংলগ্ন ফুটপাতে আড়মোড়া ভেঙে টেনে ছেঁড়ে ঘন কেশরাশ
রক্ত-মাস কেমন করে চোঁয়ায় মনে কিছু ইতঃস্তত করে অবশেষে টপকায় দুপুরের শূন্যতার ভেতর
ক্রমাবলীন
অস্পষ্ট
হারিয়ে
টপকায়
ক্রমশ
(চার)
জলরঞ্জিনীর আঁকিবুঁকি বুকে থুপি দেওয়া শ্রীময়ির আরেকটু অভাবসবুজ
আজ ক্রমে কৌশল মুখের ওপর নির্মীয়মাণ মেঘবাড়ির নিচে অশেষ বৈশালী বাদুড়
লক্ষ্যভেদী ষাঁড় ও শুক্র নির্যাসে অভ্রষ্ট আর কিছু ফাতনা বঁড়শি নালশে কেঁচোর চার
শ্রীময়ি অবিমিশ্র
কেবল একটা মৃত চোখের পাতায় শ' মিটার আন্দাজ সুড়ঙ্গ
যাওয়া হয় না
আছড়ে পড়ে নীলশাপলার মাঠে সমস্ত দুপুর
এবং
সে কারণে উঁচু জানালা দিয়ে দেখে নেয় একটা লোক সাঁতার কাটছে এন্তার
খুব কাছ থেকে ক্রমাগত ভেঙে যাচ্ছে শিশ্ন এক্সিসে
গভীর জঙ্গলের দিকে তাকে ঠেলে নিয়ে যায়
মিষ্টি
শিস
দিতে
দিতে
এক
ছোট্ট
পাখি
নির্ভার
শরীর
হাল্কা
বিষে
রাঙা
নাভিমূল
সাতরঙা
বুদবুদ
কিরণ
মানুষের
মতো
অদিশা
নিশানা
এলোচুলে
আঁত অব্দি চেঁচিয়ে ওঠে
শাওন
ঝিলের
কালোটুকু...
(পাঁচ)
ক্রমে পশলা এক অদ্ভুত সর্বত্রগামিনী
বঙ্গে অনিশ্চিত বরষা
ক্যামেরার ভিউ ফাইনডারে চোখ রাখছেন পরিচালক
বেঙ্গলি থিয়েটার কোম্পানি ম্যাডান সাহেবের নাটক : আলমগীর
বিনোদিনী স্মৃতি ভবন ২৭৮নং বিটি রোডের ধারে
সম্বিৎ ফিরে পাই
ঘুলঘুলিটায় বৃষ্টির ছিটে থেকে থেকে লাগছে...
শ্রাবণ চারুর তুড়ুক সিপাই ছড়িয়ে গেল
পেখমের চূড়ায় কিশোরী আমনকর
ক্যামেরা রেডি >
বিজ্ঞাপন
মাঝখানে ময়ূর বসিয়ে দিল সান্টানা কার্লোস
ফুটবলের ওঠা নামায় চিন চিবুক সুরা বারিশ পানিপাঁড়ে জলেস্থলে বিরহী নেড়ি ছাপোষা তরু-ময়ূর
(ছয়)
ওর দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে দৃশটি পরিযায়ী
একটা মস্ত ভোর বাড়ি উঠেছে
বিছানা জড়ানো দলিত রোদ্দুর
বড়লোকের চেয়ে বড় কথা হলো
উড়ে যাওয়া মেঘ
শিহর কুঁড়ির ফেরৎ ফেনায় শিশির পড়তে কতক্ষণ!
নিঃস্পৃহতায় ঘন হচ্ছে সেগুন কাঠের চেয়ার
পড়ন্ত ঢেঁকি ও ঝুমকো সবুজ ডেকে যায় বিয়ন্ত গাইয়ের ইশারা
আমার অব্যবহৃত ভোরট্রিমিজম
সুন্দরবনের শ্যামলচারিণী বিদ্যুৎ
পরতে পরতে তার পিপাসামূক জোড়বাংলার রণবোল
ধূসর ধুলোর ঘোড়া,
অসবর্ণ তারল্য - সংকট মনে, শূন্যময় অস্ত্রের নূপুর
আর শুধু কীট প্রকরণ, হাড়মাংসের আধো নুন
দেশজ হরিণা পুড়িয়া খাক...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন