শুক্রবার, ৩০ মে, ২০১৪

০১) বারীন ঘোষাল

আয়না

পায়রা গরম আর আয়না পারায় পালক ওড়ে
চরণেরো জুতো চারণ ছেড়ে বসেই থাকে কাহারা
মেঘ দেখে যায়

                        কিন্তু মেঘ না

                                            মেঘের চোখনা-ই
নন্দানো বিন্দুর জ্যা-টানা কই জানু
তার নাভিতে নোলক শোলোক মিতির কথা জানতাম না তো

দাগের বয়েসী তারা

                             বাঁধানো নাক মুখ স্তনের মুখোটি
সহ্য হলো না
একদিন আয়নাটা সশব্দে ভেঙ্গে পড়ল স্বপ্নে
তখন স্বপ্নটাও

ভয়ে আমরা ব্যাঙ ডাকি সাপ ডাকি নিশি ডাকি রে
বয়েসী গণিকার ভয় আমাতে লাগে না
আমার মুখ আমাতে লাগে না
তারা খোলামখুন বর্গনা মোটেই

আলো কিতকিত নীলাইকে রুবাই করা বাংলা কই
শুনি তো গুটিয়ে ওঠে কাচের টুকরো ফের টুটা আয়নায়
জান ফেরে জানিয়ে বারীনে
জানিনে তো



বস্তুগুণ

কবি খুব ম্যাজিক জানে

                                আলাদীনও জানতো
এক কলম দুই কলমের কলম করা জীবনে কলমা কথায় কী রাগ

বনজারা               কে যেন              বাগান

                                      হাসিতে গুলি

                                                        হাত চিড়িয়ার খোলা হার্টে
ছুরি কাঁচির তলায় আরামে ঘুমিয়ে পড়ে তারা
ভালোবাসার তলায়
দৃশ্যত দ্বিতীয় রোদের রাতে

                                     জলবিয়োগের পশলায়
বৃষ্টি বন খাঁ খান করে প্রান্তর

কবি খুব ম্যাজিক জানে

                                      আলাদীনও জানতো
রমণীর বস্তুগুণে রমণটি আলাদা মেশায়



গ্রাফিক আর্ট

দাহ্যরোদের কবিতায় এত গ্রাফিক আর্টের কথা কি করে বলি
দাহ্য বৃষ্টির কথা
রাবার বনের
রবারের
একবার আয়নায় ব’সে প্রজাপতি আর নড়ে না

এই মুগ্ধতা নিয়ে
অসম সমের দুই মাত্রা নিয়ে
রেখানিয়া কলা’র দুই বুক দুইটি চিবুক সহ
পথগুলো খুলে যায় কম্পাসের প্রতি ডিগ্রীতে

কে তুমি বানান করে পড়

                                                ঢুলতে ঢুলে
ঢোল সোহরৎ ভুলে আমার কবিতা
কোনো উচ্চারণ নেই যেখানে তারারা
যেখানে বাতাস নেই
প্রাণী বিড়ালের পথ রেখায় সাজানো দেখে কেউ হেঁটে যায়


1 টি মন্তব্য: