শুক্রবার, ৩০ মে, ২০১৪

০৯) ইকবাল রাশেদীন

রিপু’র গল্প

ধর্মমতে চারজন পত্নী ছিল তার,
সপ্তাহের চারদিন ঘুরে ঘুরে বেঁচে থাকা
তিনদিন - উপপত্নী দাসদাসীর সাথে।
একদিন বুকের উপর বসে অচেনা
হারেমের নারী বলল, আমি মা কালী,
সাধ হয়েছে তোমার চার নম্বরে স্থান পাবার।
অজু করতে করতে ভাবছেন তিনি
চারজনের কার ঘরের প্রয়োজন ফুরিয়েছে এবার।

বয়ে যাওয়া পবিত্র জলের জলতরঙ্গ হিমেল ধারায়
কার সর্বনাশের দুঃখ - জলের গান হয়!




যূথভ্রষ্ট কারিকা

গহীনে, তারও গভীরে - অন্ধকারে ঢুকতে ঢুকতে
আমার ভয় হয়, কণ্ঠস্বর টেনে টেনে ধরে, শিহরে কাঁপে বুক
লুকানোর মতো অদ্ভুত মিথ্যা যেন –
চোখ বাঁধা, পিচ্ছিল সুরঙ্গপথ
টর্চ লাইট জ্বেলে জ্বেলে, কাদামাটি, শীতল বাতাস
ঢুকে পড়েছি আওরঙ্গজেবের হারেমের অন্দরে আজ।

গিরীশদার বাড়িতে প্রতিদিন কেন যেতাম, জান?
বৌদি ডাকতো, কবিতা শুনবে বলে।

সাপের মতো আমূল জড়িয়ে মড়মড় করে হাড় ভেঙ্গে
শিশ্ন করেছ চুম্বন - আহ প্রতিমা ছাড়,
অসহ্য এই শিহরণ, অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে
তার বুকের গভীরে মুখ রাখতেই নারী বলল - বড্ড চেনা, না?
তোমাকে, এই তোমাকেই সোনা - অনেক ভাল্লাগে আমার।
রোজ রোজ এইভাবে কবিতা শোনাতে পার না!




ত্রিভুজ প্রেম

বৃষ্টি হয়ে যাবার পর সর্বশেষ কিছু জলবিন্দু
ঝুলছিল পাতার ডগায় ডগায়,
মেয়েটি তার সমস্ত সৌন্দর্য গায়ে মেখে
আড়মোড়া ভেঙ্গে দেখছিল জলের শেষ নির্যাস।
যে বিন্দুটিতে মেয়েটির গাঢ় প্রতিচ্ছবি
সেটি ভূ-মাধ্যাকর্ষণ সইতে না পেরে
টুপ করে ঝরে পড়ল তার নাকের চূড়ায়,
এরপর অলিগলি পেরিয়ে, সুডৌল স্তন দুটির
মাঝখান বরাবর - হৃদয় ভিজিয়ে
এসে লেপটে থাকলো - নাভিপদ্ম গোড়ায়।

পরবর্তী জন্মে আমি ঐ জলের ফোঁটার
সাথে জীবন বদল করেছি আমার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন