বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

১৪) অথির শেরপা

কবিবৃত্তান্ত



কবির বাড়ি

যে পথেই যাও না তুমি, কোনো রাস্তাতেই থাকবে না
লাল গালিচা সংবর্ধনা। প্রত্যেক বাঁক, ইলেকট্রিক খুঁটি, সংগ্রামী গাছ
আবিষ্কার করে যেতে হবে তোমাকে। হঠাৎ ঝাপটা বাতাসে চোখে-মুখে
লাগা ধুলো অনুবাদ করে বাতাসে কতটুকু সীসার উত্তাপ
তাও বলতে হতে পারে তোমাকে।
রক্তে লাল হয়ে যাওয়া কোনো চড়ুইয়ের চোখে শতাব্দীর
শেষ আলো তোমাকে দেখে যেতে হবে কবির বাড়ি - পথে হাঁটতে হাঁটতে
তোমাকে দেখে যেতে হবে নর্তকীর হাহাকার নিয়ে ছিটকে পড়া
ঘুঙুর।
ভবিষ্যৎকে সর্পবিষের জন্য তোলা রেখে তোমাকে যেতে হবে
কবির বাড়ি। আসলে কবিতা ছাড়া কবির কোনো বাড়ি নেই!


কবির চাকরি

কখনো জিজ্ঞেস করো না কী করেন কবি! হুট করে চাকরি
হারানো এবং ছাড়ার ঝুঁকি তার রক্তের ভেতর।
ল্যান্ডফোন বেজে উঠলে মনে হয়, কোনো ক্ষুধার্ত মুরগীর বাচ্চা
ডাকছে... কিন্তু কথাবার্তা কর্পোরেট টিউনে

পৃথিবীটা কখনো গোলাপের কাছাকাছি এসে থেমে যায় না।
আহা, সোনার চাবিতেও পড়ে বেদনার মরিচা।
এই জেনেই কবি হাঁটতে থাকে নিরুদ্দেশে...


কবির প্রেম

এই প্রেম পৃথিবীর প্রথম সৃষ্টির মতো। প্রথম রক্তপাত। রক্তমুদ্রার
একপিঠে আগুন। আরেক পিঠে জল।

কবির বয়স

কবির শৈশব শুরু হয় দেরিতে... কবি রাত্রিবিদ্যালয়ে পড়ে।

কবির সম্পদ

তারা এবং মানুষ দেখার এক একটি নতুন উদ্ভাবন


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন