বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

০১) রুণা বন্দ্যোপাধ্যায়

রিকন্সট্রাকশান



দেওয়াল ভাঙছে। এফ-এ-সাই বেড়েছে। মাথার ভেতর দুম দুম দুম। কপালের দুই রগে ঠক ঠক ঠক।

স্পেসিয়াস ঘর। চিলতে বারান্দা। দক্ষিণের। খোলা হাওয়া। টুকরো স্বপ্ন। বারান্দায় একটা আরামকেদারার কথা ভাবছি। একটা তো নয়। দুটো। চাঁদ জোছনা ইত্যাদিও ঘোরাফেরা করছে সম্ভাব্য রঙের কৌটো নিয়ে।

জানালাগুলো খুলে যাচ্ছে। একটা একটা একটা...

ঘুমের মধ্যেও রেহাই নেই। ভাঙা ভাঙা স্বপ্নের ভেতর ড্রিলিং মেশিনের রি-রি-রি

চোখ খুলে শুনতে পাই রিং-রিং-রিং। ল্যান্ডলাইন বাজছে। ভোরবেলা। শাশুড়ি মায়ের ফোন - আমি আজ রাতে পৌঁছচ্ছি!

আমি ভাবছি স্পেসের কথা। খোলা হাওয়ার কথা। লাঠি হাতে ৯০ বছরের বৃদ্ধা ঘুরে বেড়াবে আমাদের বেড়ে যাওয়া স্পেসে। ভাবতে ভাবতে ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে সম্ভাব্য স্পেস।

আমি তাই বৃদ্ধাশ্রমের স্বপক্ষে যুক্তিগুলো সাজাচ্ছি। আত্মসম্মান, অ্যাটেনডান্ট, সমবয়সী বন্ধু ইত্যাদি প্রভৃতি।

ঠাম্মিকে লাঠিটা এগিয়ে দিতে ভীষণ খুশি হচ্ছে ইস্কুলফেরত পাখিটা। স্পেসহীন ঘরের ভেতর আমি প্রায়ই ভেবেছি এই পাখিটার জানালার কথা। ওড়ার কথা। পালকের কথা।

আজ স্পেসিয়াস ঘরে বসে কেবলই ভাবছি বৃদ্ধাশ্রমের আর কি কি যুক্তি...

খোলা জানালাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একটা একটা একটা...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন