ফলবতীর খাঁচা
প্রজাপতির মুক্তি ভালোবাসে মেয়েটি
আজ তার প্রথম ঋতুস্নান -
ফলবতী হবার উপহার হিসেবে একটা পাখি তাকে
তাঁর খাঁচাটি দিয়ে গেছে।
খাঁচাজীবনে প্রজাপতির ভাবনায় নির্ঘুম কাঁটছে রাতটি;
তবুও মাঝে মাঝে চোখ বুজলেই সে দেখতে পাচ্ছে –
তার ঋতু সফল করতে
রবীন্দ্রনাথের প্রথম কদম ফুল নিয়ে হুডতোলা কাচরঙের লিমুজিনে
রাজকুমাররা আসছে, তাদের মাথায় চে গুয়েভারার টুপি;
শত শত রাজকুমারের মধ্যে সে এমন একজনকে খুঁজছে,
যার টুপিতে চিত্রাঙ্গদার প্রথম ঋতুস্নানের গল্প লেখা আছে।
এমন সময় শুনতে পেল,
বাবা ফিসফিস করে মাকে বলছে,
পাশের বাড়ির এক ঋতুমতীর সোনার কাঠি দস্যুরা ছিনিয়ে নিয়েছে;
খাঁচাও তাকে বাঁচাতে পারেনি।
শক্তি
সূর্যের অগ্নিস্নানে জন্ম নেয় ‘শক্তি’ – জন্মান্তরের মন্ত্র জানে সে
পূর্বজন্ম–পরজন্ম : যাওয়া আসার দুটো রাস্তাই খোলা
তাঁর বহুগামী চরিত্রে, ভাঙনে-গড়নে যোগ বিয়োগের ফল শূন্য –
শক্তি সম্পর্কে এমন কথাই বলে বিজ্ঞানীরা।
এদিকে গণতন্ত্রী তোতাপাখিরা গলা চড়ায় – জনগণই শক্তির মা-বাপ;
ওই সুরটাই শোনা যায় সংবিধানের পবিত্র অক্ষরে – যার সতীচ্ছদের
ইতিহাস লেখা আছে ঐ তোতাপাখিদেরই ঠোঁটে।
মাঝে মাঝে দু’একটা শুশুক ভুস করে মাথা জাগিয়ে বলে ওঠে,
বন্দুকের নলই সকল শক্তির উৎস
দু’চারটা ঠুসঠাস – শুশুক ডুব দেয় আবার।
ওদিকে কটা শাস্ত্রখোর হুংকার দেয় - সকল শক্তি ঈশ্বরের।
ঈশ্বর ধড়ফড় করে চোখ কচলে খোঁজে – কী হচ্ছে ওখানে!
ঝামেলায় না গিয়ে তিনি আবার ঘুমিয়ে পড়েন।
এখানে গোরস্তানের দেওয়ালে ঊণআশি বছরের শক্তিহীন হাতটা রেখে
ভূমিহীন নান্নুশেখ আজন্ম তাঁর সাথে
শক্তির প্রপঞ্চের অংকটা এখনও করেই যাচ্ছে-
গণতন্ত্র, বন্দুক, ঈশ্বর তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে
সূর্যটাও একইভাবে পুড়ে চলছে – শুধু শক্তির সময় নেই এখানে আসার।
প্রজাপতির মুক্তি ভালোবাসে মেয়েটি
আজ তার প্রথম ঋতুস্নান -
ফলবতী হবার উপহার হিসেবে একটা পাখি তাকে
তাঁর খাঁচাটি দিয়ে গেছে।
খাঁচাজীবনে প্রজাপতির ভাবনায় নির্ঘুম কাঁটছে রাতটি;
তবুও মাঝে মাঝে চোখ বুজলেই সে দেখতে পাচ্ছে –
তার ঋতু সফল করতে
রবীন্দ্রনাথের প্রথম কদম ফুল নিয়ে হুডতোলা কাচরঙের লিমুজিনে
রাজকুমাররা আসছে, তাদের মাথায় চে গুয়েভারার টুপি;
শত শত রাজকুমারের মধ্যে সে এমন একজনকে খুঁজছে,
যার টুপিতে চিত্রাঙ্গদার প্রথম ঋতুস্নানের গল্প লেখা আছে।
এমন সময় শুনতে পেল,
বাবা ফিসফিস করে মাকে বলছে,
পাশের বাড়ির এক ঋতুমতীর সোনার কাঠি দস্যুরা ছিনিয়ে নিয়েছে;
খাঁচাও তাকে বাঁচাতে পারেনি।
শক্তি
সূর্যের অগ্নিস্নানে জন্ম নেয় ‘শক্তি’ – জন্মান্তরের মন্ত্র জানে সে
পূর্বজন্ম–পরজন্ম : যাওয়া আসার দুটো রাস্তাই খোলা
তাঁর বহুগামী চরিত্রে, ভাঙনে-গড়নে যোগ বিয়োগের ফল শূন্য –
শক্তি সম্পর্কে এমন কথাই বলে বিজ্ঞানীরা।
এদিকে গণতন্ত্রী তোতাপাখিরা গলা চড়ায় – জনগণই শক্তির মা-বাপ;
ওই সুরটাই শোনা যায় সংবিধানের পবিত্র অক্ষরে – যার সতীচ্ছদের
ইতিহাস লেখা আছে ঐ তোতাপাখিদেরই ঠোঁটে।
মাঝে মাঝে দু’একটা শুশুক ভুস করে মাথা জাগিয়ে বলে ওঠে,
বন্দুকের নলই সকল শক্তির উৎস
দু’চারটা ঠুসঠাস – শুশুক ডুব দেয় আবার।
ওদিকে কটা শাস্ত্রখোর হুংকার দেয় - সকল শক্তি ঈশ্বরের।
ঈশ্বর ধড়ফড় করে চোখ কচলে খোঁজে – কী হচ্ছে ওখানে!
ঝামেলায় না গিয়ে তিনি আবার ঘুমিয়ে পড়েন।
এখানে গোরস্তানের দেওয়ালে ঊণআশি বছরের শক্তিহীন হাতটা রেখে
ভূমিহীন নান্নুশেখ আজন্ম তাঁর সাথে
শক্তির প্রপঞ্চের অংকটা এখনও করেই যাচ্ছে-
গণতন্ত্র, বন্দুক, ঈশ্বর তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে
সূর্যটাও একইভাবে পুড়ে চলছে – শুধু শক্তির সময় নেই এখানে আসার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন