হেঁশেল
খানিকটা সন্তর্পণে মাধবীলতা রান্নাঘরে ঢুকে ফ্রাইং প্যানটা চাপিয়ে দিলেন। ছেলে শুভ বেগুনভাজা খেতে খুব ভালোবাসে, অবশ্য এ যে সে বেগুন ভাজানয়, এ হলো শুভর মা’র হাতের স্পেশাল বেগুনভাজা। পুড়বে না একটুও, কিন্তু দু-পিঠ সমান লালচে আর মুচমুচে। এর একটা গুপ্ত রেসিপি আছে, সেটা মাধবীলতা কাউকে বলেননি। শেষদিকে একটু কাঁচা তেল আর কয়েক দানা... নাঃ, এ তিনি নিজের কাছেই রেখে দেবেন।
ইস্, শ্রুতি মানে বৌমা টের পেয়ে গেছে! ভালুকের মতো নাক, ঠিক গন্ধ পায়। এদিকেই আসছে।
- মা, কতবার বলেছি, এই শরীর নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকবেন না... আমরা তো আছি। দেখুন তো, ফ্রাইং প্যানের হাতলটা ঢলঢল করে, যদি খুলে যায় তাহলে কেলেঙ্কারী হয়ে যাবে...
মাধবীলতা ভালো করে জানেন, তাঁর শরীর বা ভা্লো থাকা নিয়ে এই চালাক মেয়েটির বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। এ তাঁকে রান্নাঘর থেকে তাড়াতে চাইছে। শুভ যদি বলে উঃ, বেগুনভাজাটা মা যা করে না... অসাধারণ! তাহলে মহারাণী হিংসেতে জ্বলবে। বেগুনভাজা শিল্পকলার এখনি ছিল চরম মুহূর্ত, এ বিদ্যা এর সামনে ফলানোর দরকার নেই। যেমন চিলের মতো নজর, টক্ করে শিখে নেবে। তিনি চুপচাপ সরে আসেন।
নিজের ঘরে গিয়ে মহাভারতটা নিয়ে বসবেন ভাবছেন, এমন সময় সাড়ে তিন বছরের নাতনী তার খেলনার বাক্সটা মাথায় করে বয়ে নিয়ে এসে বলল – ঠাম্মা, তোমার সঙ্গে খেলব।
-চল খেলি। তা আজ কী খেলা হবে?
-রান্নাবাটি। আজ অনেক রান্না করতে হবে।
- তা্হলে বার কর, হাঁড়ি, কড়াই, গ্যাস-উনুন, থালা... আরে এ তো পুতুল, এটা আজকে বাক্সতে থাক।
- না, এ এখানে থাকবে। এটা তো আমার বর। এক্ষুণি আপিস থেকে এসে বলবে ভীষণ ক্ষিদে পেয়েছে।
- হিঃ হিঃ, ও মা, তাই নাকি গো! ভালো, খুব ভালো। আচ্ছা কী খাবে তোর বর?
- চাটনী।
- কী, আপিস থেকে ফিরে চাটনী?
- হ্যাঁ, চাটনী খাবে। ও খুব ভালোবাসে।
- আচ্ছা, ঠিক আছে। তাহলে টমেটো লাগবে, একটু তেঁতুল আর গুড়... সব জোগাড় করে রাখ্, তারপর...
খেলা বেশিক্ষণ চলল না। নাতনীটি তুমুল চিৎকার শুরু করেছে, সেই সঙ্গে কান্না... --তোমাকে বললাম শুধু শিখিয়ে দিতে, তুমি কেন আমার বরের রান্না পুরোটা করে দিলে?
খানিকটা সন্তর্পণে মাধবীলতা রান্নাঘরে ঢুকে ফ্রাইং প্যানটা চাপিয়ে দিলেন। ছেলে শুভ বেগুনভাজা খেতে খুব ভালোবাসে, অবশ্য এ যে সে বেগুন ভাজানয়, এ হলো শুভর মা’র হাতের স্পেশাল বেগুনভাজা। পুড়বে না একটুও, কিন্তু দু-পিঠ সমান লালচে আর মুচমুচে। এর একটা গুপ্ত রেসিপি আছে, সেটা মাধবীলতা কাউকে বলেননি। শেষদিকে একটু কাঁচা তেল আর কয়েক দানা... নাঃ, এ তিনি নিজের কাছেই রেখে দেবেন।
ইস্, শ্রুতি মানে বৌমা টের পেয়ে গেছে! ভালুকের মতো নাক, ঠিক গন্ধ পায়। এদিকেই আসছে।
- মা, কতবার বলেছি, এই শরীর নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকবেন না... আমরা তো আছি। দেখুন তো, ফ্রাইং প্যানের হাতলটা ঢলঢল করে, যদি খুলে যায় তাহলে কেলেঙ্কারী হয়ে যাবে...
মাধবীলতা ভালো করে জানেন, তাঁর শরীর বা ভা্লো থাকা নিয়ে এই চালাক মেয়েটির বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। এ তাঁকে রান্নাঘর থেকে তাড়াতে চাইছে। শুভ যদি বলে উঃ, বেগুনভাজাটা মা যা করে না... অসাধারণ! তাহলে মহারাণী হিংসেতে জ্বলবে। বেগুনভাজা শিল্পকলার এখনি ছিল চরম মুহূর্ত, এ বিদ্যা এর সামনে ফলানোর দরকার নেই। যেমন চিলের মতো নজর, টক্ করে শিখে নেবে। তিনি চুপচাপ সরে আসেন।
নিজের ঘরে গিয়ে মহাভারতটা নিয়ে বসবেন ভাবছেন, এমন সময় সাড়ে তিন বছরের নাতনী তার খেলনার বাক্সটা মাথায় করে বয়ে নিয়ে এসে বলল – ঠাম্মা, তোমার সঙ্গে খেলব।
-চল খেলি। তা আজ কী খেলা হবে?
-রান্নাবাটি। আজ অনেক রান্না করতে হবে।
- তা্হলে বার কর, হাঁড়ি, কড়াই, গ্যাস-উনুন, থালা... আরে এ তো পুতুল, এটা আজকে বাক্সতে থাক।
- না, এ এখানে থাকবে। এটা তো আমার বর। এক্ষুণি আপিস থেকে এসে বলবে ভীষণ ক্ষিদে পেয়েছে।
- হিঃ হিঃ, ও মা, তাই নাকি গো! ভালো, খুব ভালো। আচ্ছা কী খাবে তোর বর?
- চাটনী।
- কী, আপিস থেকে ফিরে চাটনী?
- হ্যাঁ, চাটনী খাবে। ও খুব ভালোবাসে।
- আচ্ছা, ঠিক আছে। তাহলে টমেটো লাগবে, একটু তেঁতুল আর গুড়... সব জোগাড় করে রাখ্, তারপর...
খেলা বেশিক্ষণ চলল না। নাতনীটি তুমুল চিৎকার শুরু করেছে, সেই সঙ্গে কান্না... --তোমাকে বললাম শুধু শিখিয়ে দিতে, তুমি কেন আমার বরের রান্না পুরোটা করে দিলে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন