শান্ত স্রোতে ভাসা নৌকাটি
আমার ইচ্ছের শান্ত স্রোতে ভাসা নৌকাটি কেনই বা কারো চোখের কাঁটা
বাঁ-হাতের নিগ্রো বৃত্তাবর্তে সটান গুনের রশি,
কাশফুল বাদাম ছিঁড়ে রূপ নিচ্ছে মাছ ধরা জালে
দাঁড়ের বৈঠা ও এর চতুর মারুক
ভাঙা কোমরে অদূরে অনড় দাঁড়িয়ে-
গলুই, কুড়াল খেয়ে দাঁড়াতে না পেরে কাঠুরের লাকড়ি বনে
রোদের হাওলায়
সিরিশ কাগজে ঘষে ধুয়ে মুছে সাফ পেটেপিঠে লাগানো গাবের সক্ষমতা
পাটাতন থেকে তক্তা খুলে সাঁতারে অপটু বালকের ন্যায় ডুবে ভাসে
স্বস্তি-সমতল ঠাওরাতে না ঠাওরাতেই পায়ে এসে ঠেকে
তেকাঁটার এমন অনেক ষড়যন্ত্র, ধারালো শিলার অবান্ধব কর্ম,
ঢালু পাহাড় গড়িয়ে পাথর চাপায় ছই,
তার নিচে দম বন্ধ প্রায় চলমান প্রেক্ষাপট।
কেন? কারো পাকা ক্ষেতে, কাঁচা আইলে কিংবা রাস্তার বখাটে মোড়ে
ওঁত পেতে থাকেনি তো আমার এ মন,
কী জিঘাংসায় তাহলে মোবাইলে কমলার মোড়ক উন্মোচন হুমকি?
বটবৃক্ষ তলে
দুপুর গড়িয়ে পড়ে বটবৃক্ষ তলে
হাসপাতালে বাড়ে থেতলে যাওয়া মুখ ও পা ভাঙা রোগী।
ভেঙে পড়ে আইনের প্রয়োগ
যতোটুকু চোখে পড়ে তা অসৎ পাত্রে কন্যা দান আচরণ।
পরিণামে, কপোত ছটফট রাস্তার রক্তাক্ত পরিস্থিতি নিরবে সরবে
পাঁজাকোল হয়ে ট্রাকে, এম্বোলেন্সে – ব্যক্তির দয়ায়।
অগ্নিদগ্ধ ও পঙ্গু বিভাগে
দর্শনার্থীদের চোখ নাক ও কানের সমব্যথী
পানি ঝরা ছিদ্রকলসি রূপে –
কেউ প্রতিকূল ধাক্কা সামলাতে না পেরে
আতশি কাচ ভাঙা শব্দে মর্ম বেদনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে;
বিপদ সীমার স্তর পার হয়ে ধৈর্যের খবর।
রক্তে সাঁতরানোও কি এখন ডালেভাতে কর্মসূচি ?
সংকটের গর্তে কেন ফণাধর হিংসাবলী লাঠির অছোঁয়া
বরং সর্বত্র জন্মান্ধের ষোলকলা দর্শনের অভিপ্রায়?
পুটিংয়ের দরজা জানালা কতোটুকু বাঁধ সাধবে জন-বুলডোজারে?
বোতলের বাইরে কেন আজও সর্ষেভূতে?
বোঝাপড়া
কথার এ ক'টি ঠান্ডা ডাব দিয়ে ঢিঢি পড়ে যাওয়া
ঝাঁঝালো রোদের মাঠ কি হয় নিমেষে ঠান্ডা?
ঠোঁটকাটা মুখের গুলি ফেরানো যায় না
তুলসী পাতার দোহায়ে, তুকতাকের ছাইয়ে
কিংবা ধুলি ঝড়ের আচমকা ধাক্কাতেও।
পেন্সিলের খসড়া কল্পনা রবারেই সংশোধন,
না জেনে না বুঝে ক্লিকের সুযোগে
স্থানে বা অস্থানে ঢুকে পড়া দস্তাবেজ, ফাইলের ঝুঁকি
কী সে করবে মোকাবিলা? হাত ছাড়া ডিলিট কমান্ড, যুদ্ধঢাল;
যেখানে পাহারা দেয় সূর্য, চন্দ্র – অতন্দ্র প্রহরী
হিসেবে সিস্টেমের আলো;
পক্ষে নেই নমূনা নষ্টের লম্বা হাত,
হর্স পাওয়ার ভাইরাস, ঘরের ইঁদুর।
বছরের নদী পাড় ঘষাঘষি, আর্কাইভ থেকে তুলে আনে
জেগে ঘুম ভাঙার জীয়ন কাঠি, হাত পড়ে শিরে –
ধরা পড়ে, ভুল ভাঙা কাচে
রক্তাক্ত অতীত নীরবতা।
দরজা একটাই খোলা -- বোঝাপড়া, মেনে নেওয়া – ছিটকে এসে লাগা
ময়লা ভেবে মাটি ঘষে গত দিন ধুয়ে ফেলা;
নৈঃশব্দের নাকে ঘুষি দিয়ে বলো কোন্ দিকে মোড়?
আমার ইচ্ছের শান্ত স্রোতে ভাসা নৌকাটি কেনই বা কারো চোখের কাঁটা
বাঁ-হাতের নিগ্রো বৃত্তাবর্তে সটান গুনের রশি,
কাশফুল বাদাম ছিঁড়ে রূপ নিচ্ছে মাছ ধরা জালে
দাঁড়ের বৈঠা ও এর চতুর মারুক
ভাঙা কোমরে অদূরে অনড় দাঁড়িয়ে-
গলুই, কুড়াল খেয়ে দাঁড়াতে না পেরে কাঠুরের লাকড়ি বনে
রোদের হাওলায়
সিরিশ কাগজে ঘষে ধুয়ে মুছে সাফ পেটেপিঠে লাগানো গাবের সক্ষমতা
পাটাতন থেকে তক্তা খুলে সাঁতারে অপটু বালকের ন্যায় ডুবে ভাসে
স্বস্তি-সমতল ঠাওরাতে না ঠাওরাতেই পায়ে এসে ঠেকে
তেকাঁটার এমন অনেক ষড়যন্ত্র, ধারালো শিলার অবান্ধব কর্ম,
ঢালু পাহাড় গড়িয়ে পাথর চাপায় ছই,
তার নিচে দম বন্ধ প্রায় চলমান প্রেক্ষাপট।
কেন? কারো পাকা ক্ষেতে, কাঁচা আইলে কিংবা রাস্তার বখাটে মোড়ে
ওঁত পেতে থাকেনি তো আমার এ মন,
কী জিঘাংসায় তাহলে মোবাইলে কমলার মোড়ক উন্মোচন হুমকি?
বটবৃক্ষ তলে
দুপুর গড়িয়ে পড়ে বটবৃক্ষ তলে
হাসপাতালে বাড়ে থেতলে যাওয়া মুখ ও পা ভাঙা রোগী।
ভেঙে পড়ে আইনের প্রয়োগ
যতোটুকু চোখে পড়ে তা অসৎ পাত্রে কন্যা দান আচরণ।
পরিণামে, কপোত ছটফট রাস্তার রক্তাক্ত পরিস্থিতি নিরবে সরবে
পাঁজাকোল হয়ে ট্রাকে, এম্বোলেন্সে – ব্যক্তির দয়ায়।
অগ্নিদগ্ধ ও পঙ্গু বিভাগে
দর্শনার্থীদের চোখ নাক ও কানের সমব্যথী
পানি ঝরা ছিদ্রকলসি রূপে –
কেউ প্রতিকূল ধাক্কা সামলাতে না পেরে
আতশি কাচ ভাঙা শব্দে মর্ম বেদনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে;
বিপদ সীমার স্তর পার হয়ে ধৈর্যের খবর।
রক্তে সাঁতরানোও কি এখন ডালেভাতে কর্মসূচি ?
সংকটের গর্তে কেন ফণাধর হিংসাবলী লাঠির অছোঁয়া
বরং সর্বত্র জন্মান্ধের ষোলকলা দর্শনের অভিপ্রায়?
পুটিংয়ের দরজা জানালা কতোটুকু বাঁধ সাধবে জন-বুলডোজারে?
বোতলের বাইরে কেন আজও সর্ষেভূতে?
বোঝাপড়া
কথার এ ক'টি ঠান্ডা ডাব দিয়ে ঢিঢি পড়ে যাওয়া
ঝাঁঝালো রোদের মাঠ কি হয় নিমেষে ঠান্ডা?
ঠোঁটকাটা মুখের গুলি ফেরানো যায় না
তুলসী পাতার দোহায়ে, তুকতাকের ছাইয়ে
কিংবা ধুলি ঝড়ের আচমকা ধাক্কাতেও।
পেন্সিলের খসড়া কল্পনা রবারেই সংশোধন,
না জেনে না বুঝে ক্লিকের সুযোগে
স্থানে বা অস্থানে ঢুকে পড়া দস্তাবেজ, ফাইলের ঝুঁকি
কী সে করবে মোকাবিলা? হাত ছাড়া ডিলিট কমান্ড, যুদ্ধঢাল;
যেখানে পাহারা দেয় সূর্য, চন্দ্র – অতন্দ্র প্রহরী
হিসেবে সিস্টেমের আলো;
পক্ষে নেই নমূনা নষ্টের লম্বা হাত,
হর্স পাওয়ার ভাইরাস, ঘরের ইঁদুর।
বছরের নদী পাড় ঘষাঘষি, আর্কাইভ থেকে তুলে আনে
জেগে ঘুম ভাঙার জীয়ন কাঠি, হাত পড়ে শিরে –
ধরা পড়ে, ভুল ভাঙা কাচে
রক্তাক্ত অতীত নীরবতা।
দরজা একটাই খোলা -- বোঝাপড়া, মেনে নেওয়া – ছিটকে এসে লাগা
ময়লা ভেবে মাটি ঘষে গত দিন ধুয়ে ফেলা;
নৈঃশব্দের নাকে ঘুষি দিয়ে বলো কোন্ দিকে মোড়?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন