অনুসমর্থন
আকাঙ্ক্ষার চাদর টেনে নেমে এল দুঃসাহসী
নদী। কুসুমিত ঐকতান ডালপালা বিস্তারে মগ্ন
প্রাচীর। গুঞ্জন সিদ্ধি খেয়ে বিক্ষিপ্ত পদক্ষেপে
হরণ করল মধুর সংগীত। বিঘ্নতার দেওয়াল চিরে
বেরিয়ে এল সিঁড়ি। লুণ্ঠন নয়, শিকারি
কুকুর চাটতে থাকল হাত, পা, সমগ্র
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। নীল মশারি দুলে উঠল হাওয়ায়।
সমাজ-ছিন্ন নয়। অব্যর্থ আহ্বান সীমাহীন
মহিমায় নিক্ষিপ্ত হতে থাকল। নিশ্চিত
অনুসমর্থন মধুময় পুষ্পে ছায়াপথ-বহির্ভূত
নক্ষত্রপুঞ্জে পাড়ি জমালো। বন্য হংসী ‘ছুটি-ছুটি...’
বলতে বলতে শর-বনে গা ঢাকা দিল। ঠিক
তখন মিলন-সংগীতে ভেসে যেতে থাকলো
গতিময় সুগন্ধ বাতাস।
গ্রন্থিবন্ধন
প্রচন্ড জলপ্রপাত নীলমণিলতায় দুলতে থাকলো।
সপ্তসুর-স্নাত আকাশ বাতাস। স্পন্দিত খেয়াতরী
মোহিনী আবেশে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলো।
অবাধ্য পোশাক তখন পঞ্চবাণ ছুঁয়ে চঞ্চল পতঙ্গ।
ঘনিষ্ঠ মৌচাক কাণায় কাণায় পূর্ণ। উজ্জ্বল
বিভায় ছড়িয়ে পড়ল আলো চতুর্দিকে। গাছ পাথর
অসাড় হয়ে উঠল ক্রমশ। গভীর অন্তঃস্থল
বেণু-বাঁশ ছুঁয়ে বসে রইলো বহুক্ষণ। জলের
ভেতর বিমূঢ় চাঁদ। সন্ধ্যাতারায় অন্ত্যজ-ভাবাবেগ
ঝুলে রইলো। অব্যয় মোহ। হাত পা
শরীর প্রতিটি রোমকূপ ঘিরে যেন দ্রুতগামী
অশ্ব। আবর্তিত মহাপ্রলয় প্রকট হয়ে উঠতে
থাকল ক্রমশ...
পাখি
নিশাচর ব্যাঘ্র-পাখি নিঃশব্দে রাতের আকাশে
ডানা মেলে। রাতচরা টিয়া কাকাপো – মিষ্টি
গন্ধে ভারী বাতাস। ট্রাম্পেট সোয়ান চিৎকার
করে ওঠে। স্বচ্ছন্দ অবাধ গতি। জল, জলজ
লতাপাতা। উডপেকার ফিন্ড লম্বা কাঠি মুখে
গাছের গর্তে পোকামাকড় সংগ্রহে ব্যস্ত নায়ক।
সারসনৃ্ত্যে সমগ্র জন-জীবন মেতে ওঠে। কুকাবরা
জ্যাকের হাসি শোনা যায় কোথাও। অসংখ্য
সন্তানবৎসল দিন বাজপাখির পুরনো বাসায়
পড়ে থাকে। চঞ্চল বুলবুল রঙিন ফুলের
বাগানে পদক্ষেপ ছড়ায়। ‘দ্য হ্যাপি প্রিন্স্’
ভারাক্রান্ত পাখায় পরিয়ায়ী সময়নিষ্ঠ
সোয়ালো। মৌমাছির গুঞ্জন নয়, শূন্যে অসংখ্য
হামিংবার্ড -- সুদীর্ঘ ডানা মেলে
অ্যালবাট্রস সমুদ্র-আকাশে ভেসে ভেসে
পাড়ি জমায় রাত্রি-দিন...
আকাঙ্ক্ষার চাদর টেনে নেমে এল দুঃসাহসী
নদী। কুসুমিত ঐকতান ডালপালা বিস্তারে মগ্ন
প্রাচীর। গুঞ্জন সিদ্ধি খেয়ে বিক্ষিপ্ত পদক্ষেপে
হরণ করল মধুর সংগীত। বিঘ্নতার দেওয়াল চিরে
বেরিয়ে এল সিঁড়ি। লুণ্ঠন নয়, শিকারি
কুকুর চাটতে থাকল হাত, পা, সমগ্র
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। নীল মশারি দুলে উঠল হাওয়ায়।
সমাজ-ছিন্ন নয়। অব্যর্থ আহ্বান সীমাহীন
মহিমায় নিক্ষিপ্ত হতে থাকল। নিশ্চিত
অনুসমর্থন মধুময় পুষ্পে ছায়াপথ-বহির্ভূত
নক্ষত্রপুঞ্জে পাড়ি জমালো। বন্য হংসী ‘ছুটি-ছুটি...’
বলতে বলতে শর-বনে গা ঢাকা দিল। ঠিক
তখন মিলন-সংগীতে ভেসে যেতে থাকলো
গতিময় সুগন্ধ বাতাস।
গ্রন্থিবন্ধন
প্রচন্ড জলপ্রপাত নীলমণিলতায় দুলতে থাকলো।
সপ্তসুর-স্নাত আকাশ বাতাস। স্পন্দিত খেয়াতরী
মোহিনী আবেশে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলো।
অবাধ্য পোশাক তখন পঞ্চবাণ ছুঁয়ে চঞ্চল পতঙ্গ।
ঘনিষ্ঠ মৌচাক কাণায় কাণায় পূর্ণ। উজ্জ্বল
বিভায় ছড়িয়ে পড়ল আলো চতুর্দিকে। গাছ পাথর
অসাড় হয়ে উঠল ক্রমশ। গভীর অন্তঃস্থল
বেণু-বাঁশ ছুঁয়ে বসে রইলো বহুক্ষণ। জলের
ভেতর বিমূঢ় চাঁদ। সন্ধ্যাতারায় অন্ত্যজ-ভাবাবেগ
ঝুলে রইলো। অব্যয় মোহ। হাত পা
শরীর প্রতিটি রোমকূপ ঘিরে যেন দ্রুতগামী
অশ্ব। আবর্তিত মহাপ্রলয় প্রকট হয়ে উঠতে
থাকল ক্রমশ...
পাখি
নিশাচর ব্যাঘ্র-পাখি নিঃশব্দে রাতের আকাশে
ডানা মেলে। রাতচরা টিয়া কাকাপো – মিষ্টি
গন্ধে ভারী বাতাস। ট্রাম্পেট সোয়ান চিৎকার
করে ওঠে। স্বচ্ছন্দ অবাধ গতি। জল, জলজ
লতাপাতা। উডপেকার ফিন্ড লম্বা কাঠি মুখে
গাছের গর্তে পোকামাকড় সংগ্রহে ব্যস্ত নায়ক।
সারসনৃ্ত্যে সমগ্র জন-জীবন মেতে ওঠে। কুকাবরা
জ্যাকের হাসি শোনা যায় কোথাও। অসংখ্য
সন্তানবৎসল দিন বাজপাখির পুরনো বাসায়
পড়ে থাকে। চঞ্চল বুলবুল রঙিন ফুলের
বাগানে পদক্ষেপ ছড়ায়। ‘দ্য হ্যাপি প্রিন্স্’
ভারাক্রান্ত পাখায় পরিয়ায়ী সময়নিষ্ঠ
সোয়ালো। মৌমাছির গুঞ্জন নয়, শূন্যে অসংখ্য
হামিংবার্ড -- সুদীর্ঘ ডানা মেলে
অ্যালবাট্রস সমুদ্র-আকাশে ভেসে ভেসে
পাড়ি জমায় রাত্রি-দিন...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন