শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

২৩) শুভেন্দু ধাড়া

ব্যারিকেড

এই তো রাত্রি পুড়িয়েছি কাল
অসহনীয় বিক্ষোভের পর ভেঙেছি বৈপরীত্যের এজলাস
বোতামের ভুল ঘরে সনাতন বন্দি বলে
ছিঁড়ে ছিঁড়ে দিতে চেয়েছি অচ্ছুৎ পলিথিনের অলিগলি।

যেখানে বোধের লিকলিকে হাড়ে দধীচির ঘায় চমকে উঠি নির্বাক
মোমবাতির মুখ জ্বলে - জ্বলে যায় নিঃসঙ্গ চাঁদ।

তুই কি দেখিস না কিছুই! শুকনো ঠোঁট?
এই শহর জানে ভেসে যাওয়া নির্মাণ
কীভাবে ইমারত গড়ে কীভাবে আমার সর্ব অবসর
তোর আঁচল তরঙ্গে শিরশির ওড়ে।

অথচ চোখের গ্লাসে পার হয়ে যায় ক্যালেন্ডার
যেখানে আটকে রেখেছিস গুটিপোকা থেকে প্রজাপতির পথ।



কবিতা তুমি ও আমি

না, এই দগদগে ক্ষত অন্য কারও দেওয়া নয়
তোমারই। এই পাপড়ি ছোঁয়ার নির্মেদ অনুমতি ছিল না তো অন্য কারও!
না ছিল যেমন পরিযায়ী অবিশ্বাসের মেঘ!

যে সূক্ষ্ম যত্নে রক্ত লিখেছিলে গোপন ছুরিতে
আজও তার ছায়া গাঢ় হলে রাত্রি হয়, শার্সি ডুবে যায় এপার ওপার
প্রশ্বাস ফেটে বেরিয়ে আসতে চায় চোখের প্রান্তে
উপায়হীন...

যদিও তুমি জানো না পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ঝড়ের নাম আমি
বাঙ্ময় হই যদি আঘাতের পরিমাণ কবিতাতীত।

শুধু পারি না- তোমার মতো লিখতে...

জানো তো, আমাদের গ্রামে কেউ কবিতা খায় না
ওখানে গাঙ্গুলী না গোস্বামী এই নিয়ে তর্ক নেই, কফি হাউসও না
রাস্তার মোড়ে।

কিছুটা ভেতরে গেলে অথর্ব পেটের চিন্তা আর নির্ভেজাল
ফুল ফল পাখির ভেতর আমাকেও।

ভস্ম প্রেমে যদিও বা ইদানীং আয়না লিখছে ডারউইন
তবু জানো, কবি হতে চাই না আর...

আমার লেখারা ভোররাতের পাড় ছুঁয়ে সেই সুরের মতো
গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় হাওড়া ব্রিজ পেরোনোর পথে।
আমি সুইসাইড না খুন! এই দ্বন্দ্ব চশমা বন্দী করে
থমকে দাঁড়িয়ে থাকি।

1 টি মন্তব্য: