বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

০২) বারীন ঘোষাল

প্রিজম

আঁক বাক ডুম মেশানো মোকামের কথায়
ওগো ধোঁয়াময়
                              খোলামেলা বারিশ-ধনুর ধূন
বোজা চোখের পালকে পেখম
                              পালকে বুদবুদ
                              পালকে জলরেণু
                              পালকে আলতো আঙুল
ট্রিগারে
                ভয়ে প্রাণ উড়ে যায়
পাখি তার অবোধ ছায়াটিও নিয়ে গেল

হাফটাইমের ঘন্টা বাজে বধির স্কুলে

টিকিট কাউন্টারের ভেতর থেকে খালি হাত বেরিয়ে এল

চালকহীন গাড়ি
স্ট্রেচার ট্রলি
অলেস্টার
                            এসবে ভয় পাই
ভয়ে আমার রংপ্রিজমটা ভেঙে গুঁড়োময়
তোমার প্রিজমটা থাক নাথাক না


হারেরেরেরেরে

অগ্নি আঁকা শিশুভিয়াস
                লেখার দূরত্বে দেখি

কী লিখি                       কী লিখি আর
চক্ষুবর্ণ অসমাস কি বর্ণালী হবে কখনো
অসমাজিনো এই হারেরেরেরেরে
উড়ে যায় সা-রে বাহানার তন্ময়ূর

তার চোখে মেঘ ভাসছে ক’কাহন
টুন টুন করে সাঁকো ছেড়ে যায় ছবির ক্যামেরা
তখন নদী
                    তখন আকুল নদী
তরী ছাড়ানো         তির দাঁড়ানো এমন জ্যামিতি
বেদনার দাম বেড়ে যায় ভাইয়া


শব্দতাঁত

শব্দতাঁত চলছে এখানে
কঞ্জুষ         গতর
        সাবেকী         বৃষ্টিগাছ         হামলে
প্রতিশব্দকে ওজন করে দেখছি
জিভে সেই ওজনের রেশ লঘু লঘন দারুণ লাগছে
আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন শব্দে কোনো পরিকল্পনা নেই
যেমন চিহ্নের সময় থাকলেও সময়ের চিহ্ন হয় না
খুব গরম পড়লেও বাতাসকে আপনি গাল পাড়েন কি
জোর বিরোধী হাওয়া বইলেও না
আপনি প্রিয়দলের ওপর একটা এস্যে লিখুন তো
প্রতি-শব্দ লঘু-লঘন পরি-কল্পনা সময়-চিহ্ন গরম-বাতাস বিরোধী হাওয়া প্রিয়-দল
শব্দতাঁত চলুক এখন


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন