বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

০৬) অলোক বিশ্বাস

সুধাসিনী পার্ক

যে গুণগোত্রে বসবাস, তার চারধারে সূর্য ওঠে ব্যাকরণহীন... যে গাড়িতে প্রজত্ন, তার কোনো চাকায় পিষ্ট হয়নি চাঁদ আর রূপশালী ধান... জানালাদের চাউনি লক্ষ্য করে সমস্ত লিপির ধ্বনিরূপ আন্তর্জাতিক চিহ্নে পরিণত হয়ে যায়... যা-ই খাও, যা-ই দ্যাখ, যা-ই স্পর্শ করো, জলধারা সকল ভরে ওঠে পিউর কথায়... পালকের প্রেরণায়... পাশাপাশি শ্মশান ও কবরখানা, মাথার ওপর সুধাসিনী পার্ক... গাঙ বসানো কথোপকথনে রেম্ব্রান্ট পিকাসো অথবা আমাদের বিহারিলাল... পৃথিবীর সমস্ত প্রজাতির সঙ্গে একত্রে বসে মাথায় জুড়ে নিচ্ছ বাংলা ভাষার অলৌকিক সফটঅয়্যার...



সামান্য কান্নার আড্ডা

দুশোখানা সিঁড়ি পার করেও মোছা যায়নি বন্যার গ্নধ... আমি কার অপেক্ষায়? ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল দ্রুত শেষ হয়ে আসছে... সুব্রত কিছু বলতে চায়, বলতে না পেরে, একরোখা বন্যার কাহিনীকে চাঁছাছোলা করে... পুনরাবৃত্ত ধর্ষণ আর ব্রুটাল হত্যাপথ দেখেও সুব্রত চুপ করে আছে... বেশ চুপ করে আছি... যতো বেশি চুপ করে বসে আছে বাংলা ভাষা, ততো বেশি নদীর পাড় ভাঙছে, ততো বেশি খুন হয়ে যাচ্ছে রাজীব... মাস্টারদা সূর্য সেনের ভ্রূণ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে সারোগেট মা... যতো অবধি বন্যা উঠলে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা সন্দীপনের লেখা ভেসে চলে যায়... ততো অবধি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ছে শহরে... আমরা বুক সমান বাদাজলে দাঁড়িয়ে আবারও ভোট দেবো বলে প্রস্তুতি নিচ্ছি...



উন্মেষ পর্ব

বৃষ্টি আসছে বলে ঝনঝনিয়ে উঠছে অনিমেষ হার্টবিট এবং ফ্যাকাসের পর্বে  থাকা ঘটমান। অপৌরুষেয় বৃষ্টি নেমে আসতেই তোমাদের নেটকার্ড রিচারজড হলো। স্টেশনের ধোঁয়া থেকে পাখিরা বেরিয়ে আসছে সমুদ্রে পূর্ণ হওয়া আকাশে। উত্তপ্ত হাইরোড ছেড়ে অসংকরায়িত পাখি সরাসরি ঢোকে আমাদের হৃদয়ে। নোনাধরা ভেষজ থালা ও চায়ের কাপের দারুণ প্রতিক্রিয়া দেখছি নোনাধরা দেওয়ালের ঘরে। রেনকোটের সুতো খুলে পড়ার আগেই সমুদ্রের কয়েক মাইল অতিক্রম করে গ্রহান্তরে চলে যাবো আমি



প্রতিরূপ


তুমি বেশ ভালো আছো... ঘড়িকে দোষ দিয়ে লাভ নেই... মস্তিতে স্বস্তিতে আছো নৌকায় ব্যালেরিনায়... সামান্য তার চিহ্ন এই যে, অ্যাকোরিয়ামের সঙ্গে তোমার কথোপকথন বাড়তেই থাকে বাড়তেই থাকে...। ধ্বনিরূপ বদলায় মৎস্যকন্যাদের... বাড়ির কোণে কোণে আলোরা কথা গাইছে আর ঘর্মাক্ত পোশাক থেকে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে রোঁয়া ওঠা শনপাপড়ি... যদি কোনোদিন প্রমাণিত হয়, তোমার প্লাজমা আর কাউকে দেওয়া যাবে না, তাহলে কোনো ঋতুরই আর উপমাযোগ্য কিছু  থাকবে না... ভালো করে নাচতে চেয়েছ তুমি, রক্ত বা পেচ্ছাপের প্যাথলজিক্যাল টেস্ট ক’রে লাভ নেই...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন