সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

০৯) নীতা বিশ্বাস

আর পাশে অনন্ত জানালা

চড়ুই ছাতারে ঝগড়া করে যাচ্ছে ননস্টপ
মোবাইল টাওয়ারে নাকি ওপছানো বিষ!
আমার জানালার ধার ঘেঁষে অথচ
কাঞ্চনফুলের ডাগর
গাছটাকে ছেয়ে আছে অবিচল ফুল আর
বিচল পাখিরা নানারঙা
প্রশ্বাসে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ, নেবে কি নেবে না
তা তোমার নিজস্ব ব্যাপার
এ নিয়ে থীসিস লেখার কিছু নেই
বক্তৃতাসারি নিউজপ্রিন্টে কচালি
পাখিরা তোয়াক্কা করে না

আমাদের আবাসনে সমৃদ্ধ গাছালি
চার চাকাও.... পেট্রল ছলাৎ
কেব্‌ল মোবাইল টাওয়ার ডিসঅ্যান্টেনা
এ.সি.র সাম্রাজ্য প্রচুর
দোয়েল মুনিয়া তাও শিষ দেয়, লেড়কি পটায়
বুলবুলি উইশ করে গুডমর্নিং
ফাল্গুনী শিরিষ কুহুতে ঝালাপালা
এক পাশে উইন্ডো এ.সি., আর পাশে অনন্ত জানালা...



আও ট্যুইট করেঁ

কার্বন গিলছে বাতাস
কার বোন কুরছে থাইসিস কর্কট
বনে বনে ফুল টুটেছে
পাতায় ক্লোরোফিললেশ খরঝনঝন খঞ্জনী
বোনে বোনে বিষয়ীকোলাহল
কৌতুকোলাহলে শব্দবিষণ
বিষণে বিষমকার্বন ধর্ষকের ভূমিকায়
সততই বিদ্যমান
কার ‘বোনে’ যে দিয়েছে বাতাস
দূব্বো হাড়ে হাড়ে

শন্‌ শন্‌ হাওয়া বয় / তারারা কাঁপে
কাঁপে তথা সভ্যতার পাতিহাস প্রতিভাস
কম্পাঙ্কে জবরদস্ত উত্থানগ্রাফ
ফেবুতে উচ্চ শব্দবিভঙ্গে দূষণ বিরোধী
শ্লোগান, খাচ্ছে মাখো মাখো লাইকে
এবং প্রতিযোগিতা স্পনসরে হুল্লোড়কমিটি
টাকা বাজে ঝম ঝম, পরিবেশ কাঁপে

বেলিড্যান্সে আও ট্যুইট করেঁ



আরো কিছু এপাশ ওপাশ

ঘুম এসেছিল শেষ রাতে
ঘুমহারা তিনটি প্রহর নক্ষত্রের ডাকে
আমি একা জেগেছি
দেখেছি ছায়ার মতো ম্লান চাঁদ
মেঘের পরতে একা
একফালি বিষণ্নতা
মিলিয়ে গিয়েছে বালিচরে

আমি একা ঘরে
বিকলাঙ্গ পৃথিবীর ছেঁড়া ছেঁড়া
টুকরো কবিতা ছড়িয়েছি মেঝের ওপরে
ঘুমহারা তিনটি প্রহরে

সূর্য এসে তীব্র শ্লেষে বিঁধিয়েছে
তীক্ষ্ণ ছুরি তার
দরজা খুলেছে হাহাকার
মুহূর্তে দেখেছি
মা-হারা স্তন্য-হারা পৃথিবীর
জীবন্ত লাশ
শান দেওয়া তলোয়ার
আরো কিছু এপাশ ওপাশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন