মোজেইকের মধুবনী
আজকাল একবার ব্যথার কথা মনে হলেই আলোগুলো নিভিয়ে দিই। প্রত্যেক আঙুলের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে নিজস্ব কিছু কাহিনী। যে কারণে গোপন অন্ধকারের প্রয়োজন পড়ে।
সমুদ্র থেকে উঠে আসা যে পাঁচ বছর আগেকার হাওয়া, তার মুখ মুছিয়ে রেখেছি তোরঙ্গে। একটু অসাবধানে গড়িয়ে গেলেই, আবার তাকে বহুদিন পাব না।
জল পড়ার শব্দে আচমকা ঘুম ভেঙে উঠে দেখেছি, দালানজোড়া যাত্রাপথ খোদাই করে রাখা। দু-চার টুকরো নুড়িপাথর। লাল খয়েরি রঙ। কখন যে বেরিয়ে এসেছে আল্নার ফাঁক দিয়ে...
যে যাই বলুক না কেন, আমরা তো জানি বৃষ্টি নামাবার রসায়ন
যে যাই ভাবুক না কেন, আমরা তো জানি সমান্তরাল স্বপ্ন লিখে রাখবার দীর্ঘ জ্যামিতি
সেই যে কবে হাঁটতে শুরু করেছিলাম! তারপর কত ঘুম পেরিয়ে তবে না এখানে এসেছি। এই মোজেইক ছায়ায়।
আঙুল, এবার তোমার কথা বলো। না কথাও। চলো, আমাদের ব্যক্তিগত ঘুমের মধ্যবর্তী অঞ্চলে যাই। এইবার কিছু কিছু চলমান প্রাতঃভ্রমণকথা ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
উঠে বসা মায়াবী খেলার যত্নে কেউ না কেউ ঠিক রেখে যাবে সারারাত মেঘেদের বিরল পানীয়
একমাত্র সম্বল এই ভাঙা পাথরের নৌকো। মাস্তুলে বয়ে নিয়ে এসেছি উৎসবের মধুবনী। অপেক্ষায় ছিলাম দরজা খোলা পাব। ভেতরে চমকাচ্ছিল চাঁদের চোখ।
চেতনার অর্থ কী হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে ভাবিনি। যে কারণে সন্ধেবেলায় বেড়াতে বেরোনো শিশু শহরটিকে দেখেও একবার মনে হয় না এইবার বাগানগুলো ঘুম থেকে উঠলে তাদের গায়ে লাগিয়ে দিতে হবে ময়ূরকণ্ঠী রঙের চাদর। নিজেকে লম্বা লম্বা গাছেদের গায়ে আটকে দিয়েও তাই এতদিনেও বেড়ে ওঠা হয় না। পায়ের নিচে ঘষাপাথর একসময়ে অস্বীকার করে দেওয়াল ও হাতঘড়ির গোপন বার্তালাপ।
প্রত্যেকেই তো চায়, তার মতোন করে পাতায় এসে লাগুক উৎসব। কোমর ছাড়িয়ে রঙিন সাঁতার ছিটকে পড়ুক সমস্ত সাদা সাদা ইশ্কুলের দেওয়ালে। এদিকে যে ছুটির সন্ধে দস্তখত করে দাঁড়িয়ে রয়েছে নতুন কুয়াশার গান, সে কথা তো বলেনি কেউ! তাই না আছে আলো, না আছে মনকেমন। সম্ভবত সে কারণেই শিশুদের হাসি ছাড়া আর কোনো শব্দই এখন ফ্যাকাসে গন্ধহীন লাগে।
জাতিস্মরের দিন ও রাতের ভাগ চেয়েছি। কারণ খোয়াবের গন্ধে গন্ধে তীব্রভাবে স্বাদ চাই চুম্বকের। আলোকবর্ষ পেরোনো ঘুঙুরগুলো কখন যে বর্ষার পরিখা পেরিয়ে নেমে এলো উৎসবের অরণ্যে! তারপর আঁকাবাঁকা জেব্রাক্রসিং দিয়ে ঋতু পার হয়ে গেল -- সেই যে জিপ্সির গান, তার ভাঙা সাইকেল ও তাঁবুর দরজায় ছেঁড়া রুমালের টুকরো, সেও চুপিচুপি বালকের মতোন গান গেয়ে গেল এই শহরের অলিতে গলিতে...
ঠিক কী কারণে যে ফটোগ্রাফগুলো আর চিনতে পারি না, ঠিক কী কারণে কেন যে সিঁড়ির নিচে কোণে ঘাপটি মেরে বসে থাকে বাঘ!
দুপুরের মেঘলা উঠোনে ছায়া ফেলে উড়ে যায় বুড়ো এরোপ্লেন। আর সারাটা শহরের মোড়ে মোড়ে গান বাজে হ্যাপি বার্থডে টু য়ু... আর আমরাও আরও একটু করে অন্ধ হয়ে যাই
মেধাবী হরবোলা আমাদের কথা বলে না একবারও। আমাদের ক্যারাভান তাই সমস্ত ফোয়ারার দিকে তাক করে ছুঁড়ে মারে আমাদের অসমাপ্ত গল্পের পাণ্ডুলিপি। বারংবার নুনে ভিজলেও তাই একবারও ভুলতে পারি না সেই ঝাউবনের ধারে রাখা একলা ফাঁকা চেয়ার... অথচ সেখানে আজও কেউ রেখে যায়নি চোখের সিসমোগ্রাফ।
আমরা তাই কেবলই কামড়ে ধরি পিয়ানোর শরীর। এলোমেলো নোটেশন চিহ্নেরা ছড়িয়ে পড়ে ছাইরঙা প্ল্যাটফর্মে।
উম্ম্, চোখ খুললেই মনে হয়, মিশে যাচ্ছি স্মৃতিকাতর পাখিতে পাখিতে...
জামাকাপড় ছেড়ে রেখেছি এই কাশফুল বইয়ের পৃষ্ঠায়। তার শরীরে প্রজাপতির স্টেশন পেরোনো আলোঝলমলে অবাক কাহিনীরা... আমাকে লিখছ কি না, সে প্রসঙ্গ অবান্তর। আমি চাই উন্মাদ বাক্যগুলো যতিচিহ্ন ছুঁড়ে ফেলে একটিবার অন্তত এই জল সইতে যাওয়ার গান শুনুক।
আজকাল একবার ব্যথার কথা মনে হলেই আলোগুলো নিভিয়ে দিই। প্রত্যেক আঙুলের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে নিজস্ব কিছু কাহিনী। যে কারণে গোপন অন্ধকারের প্রয়োজন পড়ে।
সমুদ্র থেকে উঠে আসা যে পাঁচ বছর আগেকার হাওয়া, তার মুখ মুছিয়ে রেখেছি তোরঙ্গে। একটু অসাবধানে গড়িয়ে গেলেই, আবার তাকে বহুদিন পাব না।
জল পড়ার শব্দে আচমকা ঘুম ভেঙে উঠে দেখেছি, দালানজোড়া যাত্রাপথ খোদাই করে রাখা। দু-চার টুকরো নুড়িপাথর। লাল খয়েরি রঙ। কখন যে বেরিয়ে এসেছে আল্নার ফাঁক দিয়ে...
যে যাই বলুক না কেন, আমরা তো জানি বৃষ্টি নামাবার রসায়ন
যে যাই ভাবুক না কেন, আমরা তো জানি সমান্তরাল স্বপ্ন লিখে রাখবার দীর্ঘ জ্যামিতি
সেই যে কবে হাঁটতে শুরু করেছিলাম! তারপর কত ঘুম পেরিয়ে তবে না এখানে এসেছি। এই মোজেইক ছায়ায়।
আঙুল, এবার তোমার কথা বলো। না কথাও। চলো, আমাদের ব্যক্তিগত ঘুমের মধ্যবর্তী অঞ্চলে যাই। এইবার কিছু কিছু চলমান প্রাতঃভ্রমণকথা ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
উঠে বসা মায়াবী খেলার যত্নে কেউ না কেউ ঠিক রেখে যাবে সারারাত মেঘেদের বিরল পানীয়
একমাত্র সম্বল এই ভাঙা পাথরের নৌকো। মাস্তুলে বয়ে নিয়ে এসেছি উৎসবের মধুবনী। অপেক্ষায় ছিলাম দরজা খোলা পাব। ভেতরে চমকাচ্ছিল চাঁদের চোখ।
চেতনার অর্থ কী হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে ভাবিনি। যে কারণে সন্ধেবেলায় বেড়াতে বেরোনো শিশু শহরটিকে দেখেও একবার মনে হয় না এইবার বাগানগুলো ঘুম থেকে উঠলে তাদের গায়ে লাগিয়ে দিতে হবে ময়ূরকণ্ঠী রঙের চাদর। নিজেকে লম্বা লম্বা গাছেদের গায়ে আটকে দিয়েও তাই এতদিনেও বেড়ে ওঠা হয় না। পায়ের নিচে ঘষাপাথর একসময়ে অস্বীকার করে দেওয়াল ও হাতঘড়ির গোপন বার্তালাপ।
প্রত্যেকেই তো চায়, তার মতোন করে পাতায় এসে লাগুক উৎসব। কোমর ছাড়িয়ে রঙিন সাঁতার ছিটকে পড়ুক সমস্ত সাদা সাদা ইশ্কুলের দেওয়ালে। এদিকে যে ছুটির সন্ধে দস্তখত করে দাঁড়িয়ে রয়েছে নতুন কুয়াশার গান, সে কথা তো বলেনি কেউ! তাই না আছে আলো, না আছে মনকেমন। সম্ভবত সে কারণেই শিশুদের হাসি ছাড়া আর কোনো শব্দই এখন ফ্যাকাসে গন্ধহীন লাগে।
জাতিস্মরের দিন ও রাতের ভাগ চেয়েছি। কারণ খোয়াবের গন্ধে গন্ধে তীব্রভাবে স্বাদ চাই চুম্বকের। আলোকবর্ষ পেরোনো ঘুঙুরগুলো কখন যে বর্ষার পরিখা পেরিয়ে নেমে এলো উৎসবের অরণ্যে! তারপর আঁকাবাঁকা জেব্রাক্রসিং দিয়ে ঋতু পার হয়ে গেল -- সেই যে জিপ্সির গান, তার ভাঙা সাইকেল ও তাঁবুর দরজায় ছেঁড়া রুমালের টুকরো, সেও চুপিচুপি বালকের মতোন গান গেয়ে গেল এই শহরের অলিতে গলিতে...
ঠিক কী কারণে যে ফটোগ্রাফগুলো আর চিনতে পারি না, ঠিক কী কারণে কেন যে সিঁড়ির নিচে কোণে ঘাপটি মেরে বসে থাকে বাঘ!
দুপুরের মেঘলা উঠোনে ছায়া ফেলে উড়ে যায় বুড়ো এরোপ্লেন। আর সারাটা শহরের মোড়ে মোড়ে গান বাজে হ্যাপি বার্থডে টু য়ু... আর আমরাও আরও একটু করে অন্ধ হয়ে যাই
মেধাবী হরবোলা আমাদের কথা বলে না একবারও। আমাদের ক্যারাভান তাই সমস্ত ফোয়ারার দিকে তাক করে ছুঁড়ে মারে আমাদের অসমাপ্ত গল্পের পাণ্ডুলিপি। বারংবার নুনে ভিজলেও তাই একবারও ভুলতে পারি না সেই ঝাউবনের ধারে রাখা একলা ফাঁকা চেয়ার... অথচ সেখানে আজও কেউ রেখে যায়নি চোখের সিসমোগ্রাফ।
আমরা তাই কেবলই কামড়ে ধরি পিয়ানোর শরীর। এলোমেলো নোটেশন চিহ্নেরা ছড়িয়ে পড়ে ছাইরঙা প্ল্যাটফর্মে।
উম্ম্, চোখ খুললেই মনে হয়, মিশে যাচ্ছি স্মৃতিকাতর পাখিতে পাখিতে...
জামাকাপড় ছেড়ে রেখেছি এই কাশফুল বইয়ের পৃষ্ঠায়। তার শরীরে প্রজাপতির স্টেশন পেরোনো আলোঝলমলে অবাক কাহিনীরা... আমাকে লিখছ কি না, সে প্রসঙ্গ অবান্তর। আমি চাই উন্মাদ বাক্যগুলো যতিচিহ্ন ছুঁড়ে ফেলে একটিবার অন্তত এই জল সইতে যাওয়ার গান শুনুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন