একটি দৃশ্যকাব্য
আড়মোড়া ভাঙা পড়ন্ত বিকেল বসে আ্ছে পার্কের বেঞ্চিতে
দু’জোড়া ঠোঁট একজোড়া পাখির দূরত্বে - দীর্ঘক্ষণ। অতঃপর
হঠাৎ করেই তারা রূপান্তরিত হলো একজোড়া ঠোঁটে। কী
বিস্ময়কর! একযুগলের ভাষাশৈলীতে – মুহূর্তেই হয়ে গেল
প্রেমের স্মারক, ডাকবিভাগের রেভিনিউ টিকিট…
কৌলীণ্যের গৃহস্থ সন্ন্যাস
দেহাজলে বসেছে শাপলার মেলা, পুঁটিবিলে ফুটছে পদ্মফুল
আকাশ শরত শশীর প্লাবনে মনসমুদ্রে জোছনার আগুন
ছুঁয়ে যায় কর্পূরের মতো কহুক, নদীকূলে বসে থাকি কবন্ধ
আত্মার সন্ধানে; যাপন করি কৌলীণ্যের গৃহস্থ সন্ন্যাস - মুছে
দিই ধর্মকূল - বংশতিলকের রেখা। সবকিছু শূন্যময়
কৃষ্ণপক্ষের নিষাদের কাছে…
জলস্কেচের বাৎসায়ন
জলের সঙ্গমে জন্মে বুদ্বুদ
আঁকা হয় জলরঙে জলের স্কেচ
গ্রীষ্মের তপ্ত মাটির বুক শুষে নেয়
বর্ষার প্রথম প্লাবনে; প্রকম্পিত
প্রেমিকার চুম্বনের মতো বরষায়
শরীরের কোষে জাগে বাৎসায়নকলা।
জোছনার পূর্ণমিদম
নিদ্রাহীন রাতের প্রহরী ঘড়ির কাঁটায়
নিশাচর পাখির মতো কবিচোখে
অধীরতা লুকাও কোন্ কবিতার জন্য
জানালা দিয়ে নির্দ্বিধায় - নির্ভয়ে ঘরে
ঢোকে ষোলোকলায় পূর্ণ জোছনার ঘোর
প্রতিমাসেই জোছনার মেয়ে হয়
পূর্ণিমার প্রকৃত জনক হবে কে?
আত্মকথন
মনের জানালার পাশে অযত্নে বেড়ে ওঠা বাবলা গাছে
লোধ্ররেণুর কাছে প্রতিদিন পাখি এসে বসে, তার সাথে
কথা-কথকতা; বিনিময় একাকীত্ব ভালোবাসাবাসি…
পাখি থেকে যা ঘরে কাছাকাছি আরও পাশাপাশি
নয় তো নিয়ে যা তোর নীড়ে, ইচ্ছামাফিক উড়বো
দু’জন পাড়ি দেবো সীমান্ত কিংবা কুয়াশাভেজা ভোর।
আড়মোড়া ভাঙা পড়ন্ত বিকেল বসে আ্ছে পার্কের বেঞ্চিতে
দু’জোড়া ঠোঁট একজোড়া পাখির দূরত্বে - দীর্ঘক্ষণ। অতঃপর
হঠাৎ করেই তারা রূপান্তরিত হলো একজোড়া ঠোঁটে। কী
বিস্ময়কর! একযুগলের ভাষাশৈলীতে – মুহূর্তেই হয়ে গেল
প্রেমের স্মারক, ডাকবিভাগের রেভিনিউ টিকিট…
কৌলীণ্যের গৃহস্থ সন্ন্যাস
দেহাজলে বসেছে শাপলার মেলা, পুঁটিবিলে ফুটছে পদ্মফুল
আকাশ শরত শশীর প্লাবনে মনসমুদ্রে জোছনার আগুন
ছুঁয়ে যায় কর্পূরের মতো কহুক, নদীকূলে বসে থাকি কবন্ধ
আত্মার সন্ধানে; যাপন করি কৌলীণ্যের গৃহস্থ সন্ন্যাস - মুছে
দিই ধর্মকূল - বংশতিলকের রেখা। সবকিছু শূন্যময়
কৃষ্ণপক্ষের নিষাদের কাছে…
জলস্কেচের বাৎসায়ন
জলের সঙ্গমে জন্মে বুদ্বুদ
আঁকা হয় জলরঙে জলের স্কেচ
গ্রীষ্মের তপ্ত মাটির বুক শুষে নেয়
বর্ষার প্রথম প্লাবনে; প্রকম্পিত
প্রেমিকার চুম্বনের মতো বরষায়
শরীরের কোষে জাগে বাৎসায়নকলা।
জোছনার পূর্ণমিদম
নিদ্রাহীন রাতের প্রহরী ঘড়ির কাঁটায়
নিশাচর পাখির মতো কবিচোখে
অধীরতা লুকাও কোন্ কবিতার জন্য
জানালা দিয়ে নির্দ্বিধায় - নির্ভয়ে ঘরে
ঢোকে ষোলোকলায় পূর্ণ জোছনার ঘোর
প্রতিমাসেই জোছনার মেয়ে হয়
পূর্ণিমার প্রকৃত জনক হবে কে?
আত্মকথন
মনের জানালার পাশে অযত্নে বেড়ে ওঠা বাবলা গাছে
লোধ্ররেণুর কাছে প্রতিদিন পাখি এসে বসে, তার সাথে
কথা-কথকতা; বিনিময় একাকীত্ব ভালোবাসাবাসি…
পাখি থেকে যা ঘরে কাছাকাছি আরও পাশাপাশি
নয় তো নিয়ে যা তোর নীড়ে, ইচ্ছামাফিক উড়বো
দু’জন পাড়ি দেবো সীমান্ত কিংবা কুয়াশাভেজা ভোর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন