সর্বনাশ
ফড়িং-এর ডানার মতো
ফরফরাচ্ছে ফারাক
মাটি খুঁড়ে চলেছে যারা
জল আনবে
চরাই – উৎরাইকে টানছে
ওরা সমতলে বসে
মাঝে মাঝে ইচ্ছা
করে
বীভৎস সমাজের
মাঝপথে হাঁটি মধ্যরাতে
ডানারা রহস্য
মুখর
কেউ অনুচর কেউ বা
সহচর...
ভয়ের গায়ে
বিশুদ্ধ স্পর্শ রাখি
আমার একমাত্র
ওষুধের নাম ক্ষয়পূরণ
এক-একটা গিয়ারে
রাত ভাগ হয়ে যায়
নর্দমার শরীরে রাস্তার
দুঃখ আর উপেক্ষা ---
যে ছেলেটি আমায় বাইক
শেখাবে বলেছিল
তার হাতে ভাগ্যরেখাই নেই
বিষাক্ত জায়গায় সুরা
ঢাললে
যন্ত্রণারা হেরে যায়...
দুঃখের অপচয় সমতাহীন
ব্যর্থতায় জিভের আংটা ঘুমোচ্ছে
শ্রমিক হতে ইচ্ছে করে
ইস্পাতের আগুনে
উড়ে যেতে ইচ্ছে করে চোখ
পুড়িয়ে
পূর্বজন্ম
কাঠখড় পুড়ে গিয়ে পড়ে আছে
পূর্বজন্মের ধুলো
গন্ধের শক্তি বড় নির্মম
পিঠ চাপড়ে জাতিস্মর উঠে
আসে
হাতের চেটোয় অমঙ্গলের
ভবিষ্যতবক্তা
শরীরী কাঁটার সাথে
মাংসের বিরোধ
চৌম্বক কেন্দ্রে জমে ওঠে
রক্তসুরা
জিভ মূর্ছা যায়
---পুনরায় জন্ম হয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন