মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৩

১৬ শ্রীদর্শিনী চক্রবর্তী


কোজাগরী ইচ্ছেগুলি

(১)
ইস্তেহার পড়ে পড়ে দেহে ত্বক জন্মিয়ে গিয়েছে,
রাত্রি হলে সে’সব দেওয়ালগুলি আরো কাছে ঘিরে ঘিরে আসে।
বটুয়া খুলে সে দেখে আহত সমাসবদ্ধ জমা আছে এখনও কাজল –
পুরুষালী মুছে দেওয়া ছোঁয়াগুলি ফিরছে এখনও,
আকর্ষ ছড়িয়ে আছে মিছিলের মাঝে মাঝে
স্পর্শের উচ্চারণগুলি –
মুহূর্তের নিচুস্বরে স্তব।

বহুত দূরান্ত তক
কোজাগরী ইচ্ছেগুলি
ছড়িয়ে দিয়েছে রাতে
জ্যোৎস্নার ম
তো সব অপূর্ণ আলোর সীমা-কাল।   


()
লক্ষ্মীমন্ত তার সমস্ত ভিতর আর বার,
তবু বিন্দি পড়ে গিয়ে অযথা কুয়োর জলে
চাঁদের আদল এনে দেয়।

দূরের অগস্ত্যরুট,
সেখানে হেমন্তপথে ছাতিম-সন্ততি সব,
নিয়ে যেতে পারে তাকে কোনো প্রিয় মাদক বাহুতে –
সে খুব লক্ষ্মীমন্ত, আলোর ভেতরে চলে
তবু তারও সাবমেরিন-হৃদয়

যদিও চতুর্দিক ভীষণ শান্ত আর
চুড়ির গাছার সাথে চাবির গোছার শব্দ ছাড়া কিছু পাঠানোর নেই।

()
আজকাল কোলাজ করে,
স্মৃতি কেটে কেটে জুড়ে, বানিয়ে ফেলেছে এক
অন্যতম কোলাজ-জীবন।
আজকে সন্ধে থেকে সেখানে জ্যান্ত সব
আনাগোনা, চেনা-পরিচিত
--
আশ্চর্য লংশটে বিদ্রোহী-কবিতা পড়ছে
একটি
গোছানো আর একটি খুব অগোছালো লোক।
কিন্তু ওই এক শটে দু’জনেই স্তব্ধ হয়ে আছে।
তবু তেলচিটে বাল্ব, উষ্ণ রঙের স্ক্রিন,

ঝোড়ো কিছু আনাগোনো আর খোলা খাতাসহ দেখে
বুঝে নেয় পুরনো পাঠিকা,
দু’জনেই সাবেক বন্ধু,
দু’জনেই কবিতা পড়ছে

সকলের ইচ্ছেগুলি কোজাগর শব্দ হয়ে গেছে।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন