মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৩

০৬ অরূপরতন ঘোষ


সুবাস


আজ অনেক সরলতা হলো। হলো বিমূর্ত মূর্তির পাশে বসা। ধূপি গাছের নিচে – ক্রমান্বয়ে গড়িয়ে যায় গুঁড়ো দুধ ও চাল মাপার কৌটো। কিছুক্ষণ অনাদি মেঘ ভেসে থাকে
এমন কবিতার সৌন্দর্য, লেখকের রীতি নীতি এবং ব্যক্তিগত চাহিদার বাইরে যে অস্তিত্ব, জাদুঘরমুখি ও একান্তই পলায়নপর – তাকে কৃপার দৃষ্টিতে দেখি। একই সঙ্গে দেখি বাগানে ফুটেছে ফুল, গন্ধ আছে। বেলফুল কুড়িয়ে নাকে শোঁকার মতো একটা বিকেল এসেছে আজ।
ঘরের মার্বেল এসে গায়ে লাগছে। ঠান্ডা ঘরের আবহাওয়া। আসবাবপত্রের গায়ে এসে লাগছে। সন্ধ্যের আগেই ফিরে আসছেন অরুণবাবু, অফিস সাঙ্গ হলো তবে;

ঋতু
জন্মের অক্ষর থেকে কলাগাছ পেঁচিয়ে উঠছে
পৃথিবীর মাথায় ত্রাহি উঠোন
কমলা স্বরের কথা... ছোট পর্দার
সুবেশ গামলায় নৈ,
সামনে গৃহস্থালি

বুক উঁচু ঘাসের মধ্যে রয়েছে


প্রকল্প
তুলার সুহৃদ রঙ ফুটে আছে
আঁশ রোম লেগে থাকা
সমূহ হরিৎ বৃক্ষ – সুনির্দিষ্ট ছাইদানি

ফেরেব্বাজ যত, ঘোর বর্ষায়
গিয়েছে নদীর ধারে, তুলার সুহৃদ রঙ
এমন কী ১৪০০ টাকা ভেসে যায়
মিউজিকে

অন বা নঙর্থক শব্দ এক খটাখট শোনা যায় আপাত দূরত্বের ওই
অরণ্যানী বা বনশ্রেণীর  ভিতর থেকে


৪টি মন্তব্য:

  1. তোমার অন্য লেখার থেকে আলাদা মনে হল প্রথম পাঠে।

    উত্তরমুছুন
  2. প্রথম কবিতাটা মারাত্মক। ও তোমার অন্যান্য লেখার থেকে আলাদা। প্রতিটি বাক্যের একটা নির্দিষ্ট ওজন রয়েছে, নির্দিষ্ট অভিঘাত রয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  3. " বেলফুল কুড়িয়ে নাকে শোঁকার মতো একটা বিকেল এসেছে আজ।" এমন একটা লাইন নির্বিকার ভাবে তোমার কোনও কবিতায় বসে আছে কল্পনা করাও শক্ত। তুমি ছিলে ভাস্কর, তাই স্বভাববশতই নির্বাচিত, গাঢ়। কমলা রঙবিহীন তোমার কোনও কবিতা পড়েছি বলে মনে পড়ে না। অথচ দেখি ক্রমশই ফর্সা হয়ে উঠছে তোমার এই লেখাটির লাইন গুলো। এক অন্যত্র স্থাপত্যের প্রতি হালকা ও অভিকর্ষময় ইঙ্গিত থাকে তোমার আগের কবিতার মধ্যে। সেই সূত্রে গাঁথা হতে থাকে সর্বত্র। কিন্তু এখানে এক অপরিচিত ভাষ্যের সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম।

    উত্তরমুছুন
  4. " বেলফুল কুড়িয়ে নাকে শোঁকার মতো একটা বিকেল এসেছে আজ।" এমন একটা লাইন নির্বিকার ভাবে তোমার কোনও কবিতায় বসে আছে কল্পনা করাও শক্ত। তুমি ছিলে ভাস্কর, তাই স্বভাববশতই নির্বাচিত, গাঢ়। কমলা রঙবিহীন তোমার কোনও কবিতা পড়েছি বলে মনে পড়ে না। অথচ দেখি ক্রমশই ফর্সা হয়ে উঠছে তোমার এই লেখাটির লাইন গুলো। এক অন্যত্র স্থাপত্যের প্রতি হালকা ও অভিকর্ষময় ইঙ্গিত থাকে তোমার আগের কবিতার মধ্যে। সেই সূত্রে গাঁথা হতে থাকে সর্বত্র। কিন্তু এখানে এক অপরিচিত ভাষ্যের সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম।

    উত্তরমুছুন