অবিভাজ্য খাঁজ
অস্পষ্ট রাত্রির বুকে বাঁশির অক্লান্ত পরিহাস শোনা যায়।
বালপ্রৌঢ় স্বমৈথুন ক্রোধে উত্তেজিত হলে বীজবপনের কাল
হেসে ওঠে। ভোর হয়। সমগ্র
অমরা ঘিরে উৎপত্তি ও লয়ের
সংগীত ধ্বনিত হতে থাকে। নিরুচ্চার আত্মমগ্নতা ছিঁড়ে
রূপহীন যৌবন উড়ে যায় প্রচণ্ড বাতাসে। অক্লেশ দৃঢ়তা
ঘিরে অপেক্ষমাণ সবুজ জমি। নীল আকাশ শোনে দরদী
ভাটিয়ালি। আত্মকেন্দ্রী
চুল প্রকট রোদ্দুরে ছায়া খোঁজে,
পাখির ডানায় তখন রামধনু রেশমি পালক। ছায়া ছোট
হতে থাকে ক্রমশ। মধ্য আকাশ ঘিরে উজ্জ্ব্ল স্বর্ণগোলক।
মাছরাঙাটি বুক ছুঁয়ে ছুঁয়ে উড়ে যায়। শালুকের পাপড়ি ঘিরে
জল, কলমির বিস্তারে স্থির দর্পণ দোলে। পরন্ত এই বেলায়
তালগাছে কাকেদের হাঙ্গামা শোনা যায়। ঠিক তখনই
কুউউ-ঝিক্ ঝিক্ শব্দবিমান ভেদ করে চলে যায় কোথাও...
দুটি বাহুর নিবিড় বেষ্টন খুঁজতে থাকে অবিভাজ্য খাঁজ...
সমর্পণ
পৃথিবীর কোণে
কোণে সূ্ক্ষ্ম অনুভূতির অন্তরালে ভাসতে
থাকো। মানসিক চাপ বা প্রশান্তির
ভেতর খুঁজতে থাকো
সমর্পণ -- যে তোমাকে
পুরোপুরি বুঝবে এবং তুমিও তাকে।
সে তোমার একান্ত
আপন মা বাবা ভাই বোন ছেলে মেয়ে
স্বামী বা
প্রেমিক যে কেউ হতে পারেন। শ্যামল-আলোক
হৃদয়ে উজাড় করা
ভালোবাসা পাওয়া ও দেওয়া বড়ো বেশি
দামি ব্যাপার। ভাসতে থাকে তুলো, পেঁজা তুলো। ধরতে
ধরতে হারিয়ে যেতে
থাকো। দূরের আকাশবিস্তৃত গাছগুলির
আহ্বান -- ছুটে
আয় ছুটে আয় -- হাত পায়ের জড়তা
ছাড়িয়ে এগিয়ে
যেতে থাকো তুমি...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন