মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৩

০১ মলয় রায়চৌধুরী


প্রেমের কবিতার ডাক্তার


শরীরের প্রতিটি অঙ্গ
এক-একজন ডাক্তারকে
দিয়ে দিয়েছেন উনি
ডাক্তারেরা একে-একে
যে যার নির্দিষ্ট অঙ্গ যাচাই করে
প্রেসক্রিপশান লিখে চলে গেলেন
শেষ ডাক্তার তাঁর বরাদ্দ অঙ্গটি
নাড়িয়ে-চাড়িয়ে জানতে চাইলেন,
‘এখনও প্রেমের কবিতা লিখছেন নাকি?

এমব্রয়ডারির গোপনে

বিপ্লবের ঝড়ে পাওয়া বরকে ডিভোর্স দিয়ে
তুমি তো উধাও নমিতাদি
মাঝরাতে গালের টোলেতে জমে থাকা
রোদের ঝিলিক বিলি করে
অন্ধকার দেওয়ালে আজও ঝুলে আছে
সত্তর বছর আগে ক্রচেটের বাণী
কালো আর লালচে সুতোয় লিখেছিলে
এনিওয়ান হু নোজ এনিথিং অফ হিসট্রি
নোজ দ্যাট গ্রেট সোশাল চেনজেস আর
ইমপসিবল উইদাউট ফিমেল আপহিভল।
সোশাল প্রগ্রেস ক্যান বি মেজার্ড
এগজ্যাক্টলি বাই দি সোশাল পোজিশান
অফ দি ফেয়ার সেক্স,
দি আগলি ওয়ান্স ইনক্লুডেড'
অপরূপা ছিলে তবু শেষের লাইনটা
লাল সুতো দিয়ে কেন লিখেছিলে
জানল না কেউ
কেদার ভাদুড়ীর নৃত্য
এগুলো কী করেছেন
এত বড় বড় অক্ষরে
তাও মাটিতে খাতা পেতে?
গুরু, তোমায় বলেছিলাম সেদিন--
তুমি জানতে চাইলে
‘হাত দিয়ে তো লিখতে পারছেন না
এবার কী করবেন?
দ্যাখো দ্যাখো চোখ খুলে দ্যাখো,
কবিতা শালা আমি লিখবই
মরার দিন পর্যন্ত লিখব;
পায়ের দু-আঙুলে কলম ধরে লিখেছি--
যা এখনকার কোনো কবি
হাতে কলম নিয়েও লিখতে পারবে না



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন