চারটি কবিতা
আলতাফ হোসেন
আলতাফ হোসেন
অপরাহ্ন
দৃশ্য বদলে বদলে যায়
এক মুখ আর দেখব না, প্রশ্নচিহ্ন
উঠিয়ে দিলাম
তবে কী করে হবে আমার, আমার
কোনো চিহ্ন নেই
এক
সুইসাইডের ট্রেন
সুইডেনের ট্রেন
নৈঃশব্দ্য থেকে এসে পেয়ে
গেছে ঝোড়োগতি
একটি স্টেশন ছুঁয়ে যেতে না
যেতেই আরেকটি ওই তো
নাম পড়বে? না, প্রশ্ন নেই।
না যুক্ত করো
শিমূলডালের আগায়, রবিবাবুর
বকুল, যেই জ্যোৎস্না একটুখানি
আসন্ন চামেলি...
আমার হতে হলে
কোনও মর্ত্যভূমিই
শেষপর্যন্ত
তিষ্ঠতে পারবে না
রোজনামচা
রোজনামচা
লিখতে গেলে প্রেসক্লাব থেকে এলাম
খাবার
খেলাম
একটা
বাস পেয়ে গেলাম
না
লিখতে গেলে পৃথিবীতে কারো কোনও অবসর নেই
ঘরের
মধ্যে ঘর ঘুরছে আমি ঘুরছিলাম
ঘাম
ছুটছে
আগুনের
লাল লাগছে
একটু
পরেই লম্বাকোর্তা কেউ এসে বলবে ‘হ্যান্ডস আপ’
বা
গলা কাটতে আসবে হয়তো
আমি তো
অপরাধী
লোকেরা
আমাকে না চিনুক
আমি কেন
একজনকে দেখেও হাসব না চিনতে পারি না বলে
কালো কাপড়ে
ঢেকে রাখতে চাই মুখ
পরেরগুলো হয়তো
যা
লিখতাম তা-ই খেয়ে নিচ্ছিল সাড়ে ১৫ ই্ন্চির পর্দা
আতঙ্কও
হচ্ছিল
হো
হো করে হাসছিলামও
দল
বেঁধে যাচ্ছিল ছেলেরা যুবকরা তরুণীরা তাদের প্রত্যেকের
মুখ
ছুঁয়ে ছেনে আনা এই হাসি
আগের
ছবিগুলো হয়তো কোনও ছবি নয়
পরেরগুলো
হয়তো
হাহাহা
হোহোহো
ভুবনভরা
ভুলে যাওয়া
ভুলে
যাই
আমরা
আছি পুরনো দুনিয়ায়
নিমের
পাতারা
ছেড়ে
যায়নি আমাদের
যত
লো-ভল্যুমেই দাও
টিভি
বড্ড শব্দে বাজে, বাজতে বাজতে
কানে
ধরে ওঠায় আর বসায়
বসতে-উঠতে
বলি :
কারা
যাবে চাঁদে হাত তোলো,
কারা
মঙ্গলগ্রহে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন