অমিতাভ প্রামাণিক
৩ বাংলা পান
পান্নাদের প্রাণনাশ ও অকথ্য অত্যাচারের অবসান ঘটাতে চুনিলাল চুনিবংশের পত্তন করলেন। ‘চ’ আর ‘ন’-এর প্রতি পক্ষপাতিত্ব ছাড়া প্রথম প্রথম দেখা গেল বেশ ভালো লোক চুনিলাল। চিনি আর চানা মিলতে লাগলো, চান করার জলও। চানাচুর খায় চুনিলাল, আর চীনের গুণ গায়। কিন্তু কিছু সময় গেলে বোঝা গেল চুনিলাল শুধু চুনি নয়, বড় বেশি লাল। লালিত্যহীন লোলচর্ম লালের লালিমায় লোক পাগল হয়ে লালা ঝরাতে লাগলো।
সুযোগ বুঝে এগিয়ে এলো চুনিলালের বৈমাত্রেয় ভগিনী চুনিবালা। কোঁচকানো না-কাচা শাড়ি পরে চীনের নিকুচি করতে করতে কুচো নিমকি খেতে ও খাওয়াতে লাগলেন কচিকাঁচাদের। যাদের লালা ঝরছিল, তারা বালা-র দলে চলে এলো।
কিন্তু দিন ফুরাতে না ফুরাতেই দেখা গেল, চুনিলাল যে চীনা চপস্টিক দিয়ে লালের লীলা দেখাচ্ছিল, চুনিবালার বালা-পরা হাতেও সেই একই স্টিক, শুধু চপটা নেই। চুনিবালা কেবলমাত্র অন্য একটা চুনি, তাই তার স্টিককে লোক বলতে লাগলো ‘অপর-চুনি’স স্টিক’। শিগিগির বালা হয়ে দাঁড়ালো বালাই।
এখন জনগণ বলছে, কী করে অন্যরকম হবে, দুটোই তো চুন-ই! পান-এর সাথে খেলে জিভ পোড়ে, জীব যে পুড়বে, তাতে আর আশ্চর্য কী!
এই অনু‘পান’ খেয়ে লালকমলরা নীলকমল হয়ে গেল। যারা ‘পান না’, তারা বলতে লাগলো, দ্যাখ, সব চুনি-ই লাল, আমিই শুধু সবুজ।
কী বুঝলেন? ইংরেজিতে পি ইউ এন লেখে বটে, তবে আমাদের আজকের চারানা আটানার বিষয়বস্তু হচ্ছে বাংলা পান, ওরফে পিজে। সবুজ রঙের পাতা, চুন খয়ের সমেত খেলেই মুখ লাল! তবে হ্যাঁ, গত দু’সংখ্যার চারানা আটানা কলাম দেখে লোকজন বলাবলি করছে, এই সব ফালতু লেখায় মালকড়ি কিস্যু নেই, এর চেয়ে দু’ লাইন গপ্পো ফেঁদে বসলেও তো পারতো। অভিযোগ মন্দ নয়, তাই সেই চেষ্টাই করছি এবারে। বাংলায় ছোটগল্প লেখা শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তাঁকে নিয়েই এবারের এক গণ্ডা গল্প। থুড়ি, বাংলা পান। রবি ঠাকুরের পান খাওয়া দিয়েই শুরু করা যাক।
১। রবি ঠাকুরের পান-ভোজন
দুপুরে খাওয়ার পর আরামকেদারায় বসে একটা পান খান রবীন্দ্রনাথ, তার সরঞ্জাম নিয়ে মৃণালিনী পায়ের কাছে বসে পান সাজছেন। বাড়ির ঠিকে ঝি মোক্ষদা-র পুঁচকে মেয়েটা এসে বায়না ধরলো, সেও পান খাবে।
মেয়েটার বয়স বছর চারেক, সর্ষের তেলের শিশির মতো তার গায়ের রঙ, মায়াময় চোখদুটি। সারা বাড়ি টো টো করে ঘুরে বেড়ায়, সর্বত্র তার অধিকার। কিন্তু এই বয়সেই তাকে পানাসক্ত করে তোলা কি ঠিক হবে?
রবি বললেন, ‘তুই পান খাবি কী রে! তোকে আমি ভীমনাগের সন্দেশ খাওয়াবো। এখন ছবির খাতাটা নিয়ে আয় তো, কালারিং কর্ দেখি আমার সামনে বসে’।
সে ছুটে গিয়ে তার ছবি রং করার খাতা এনে রবিকে দেখালো, একটাও ছবি রঙ হতে বাকি নেই আর। ঐ খাতারই শেষ পাতায় তাসের একটা ইস্কাবনের আউটলাইন স্কেচ এঁকে রবি বললেন, ‘নে এই পানটাতে রঙ দে দেখি’।
মেয়েটা আবার এক ছুটে গিয়ে নিয়ে এলো তার জলরঙের যাবতীয় কৌটো-সামগ্রী। তার কোনোটাতে রঙ আছে, কোনোটাতে ফুরিয়ে গিয়েছে। লাল, নীল, বেগুনী রঙের কৌটোতে কিছুটা করে রঙ আছে। অবন ঠাকুর তার একটা কৌটোয় কাঁচা হলুদের নির্যাস ভরে দিয়েছেন আর বলেছেন, সেইটা দিয়ে রঙ করা প্র্যাকটিশ করতে। একটা নতুন তুলিও দিয়েছেন। সে রবীন্দ্রনাথের আঁকা স্কেচটার ওপরে ঝুঁকে পড়ে তার কৌটোর তরল আর আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে রঙ করতে লাগলো।
এক মুহূর্ত বুঝি অন্যমনস্ক ছিলেন রবি। হঠাৎ স্ত্রীর আর্তনাদ শুনে তাকিয়ে দেখেন, মেয়েটা সেই পানের স্কেচের মধ্যে সবুজের বদলে বেগুনী রঙ বোলাচ্ছে। থতমত খেয়ে গেল বাচ্চাটা, হাতে তুলে নিলো কাঁচা হলুদের কৌটোটা আর ওটা হাত ফস্কে পড়ে গেল মৃণালিনীর হাতে ধরা চুনের ডিব্বায়। চুনের মধ্যে হলুদ পড়তেই সাদা ধবধবে চুনটা হয়ে গেল খুনখারাপি লাল।
দুজনের মুখের হতাশ অবস্থা দেখে হেসে ফেললেন রবীন্দ্রনাথ। চার বছরের মেয়ে, সে কীই বা বোঝে! তিনিই তার নাম দিয়েছেন চেতনা।
পাশে পড়ে থাকা কবিতার খাতাটা টেনে নিয়ে লিখলেন -
তাহলে বুঝে গেলেন তো, আপনাদের প্রিয় কবিতাটার প্রকৃত ইতিহাস? ফালতু সময় নষ্ট করে লাভ নেই, এবারে একটা সওয়াল জবাবের গল্প বলি। একালের বাঙালি সাহিত্যিকদের মধ্যে কোর্ট কেস নিয়ে সবচেয়ে উপাদেয় গল্প ফেঁদেছেন নারায়ণ সান্যাল, তাঁর কাঁটা সিরিজে। উলের কাঁটা, চুলের কাঁটা, কুলের কাঁটা, মাছের কাঁটা, গাছের কাঁটা, শজারুর কাঁটা, সারমেয় গণ্ডুকের কাঁটা, এমন কোনো কাঁটা পাবেন না যা নিয়ে তিনি একটা পি কে বাসুর গল্প নামান নি। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় এই নিবেদন –আমারই চেতনার রঙে
পান না হলো সবুজ,
চুনই উঠলো রাঙা হয়ে...
২। রবির কাঁটা
কুকুরের ওপর আমার খুব যে ভক্তি ছিল, তা নয়, তবে বাবা অত যত্ন করে রাস্তা থেকে যখন কেঁদোকে ঘরে এনে তুলল, আমিই ওর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিলাম। বাবা হাইকোর্টের উকিল, বাবার সময় কোথায়? বোন মুমু-টা পুরো মা-র মতো, সে পড়াশোনা নাচ-গান-ছবি এইসব নিয়েই থাকে। তার গাদা গাদা বই-ম্যাগাজিন-এলপি রেকর্ড-পুরনো কারুকাজ-ছাইপাঁশ। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রের এডিটিং করা বাতিল সেলুলয়েডের একবাক্স কালেকশন। আরে এখন ডিভিডির যুগ, ঐ ছাতা ঘরে রাখার কোনো মানে হয়?
আফটার অল কেঁদো তো কুকুর, সে তো বইটই পড়তে পারে না বানান করে। একটু না হয় চিবিয়েই দিয়েছে, তো কী হয়েছে, পড়া তো যাচ্ছে। মা-র পুরী থেকে কালেকশনের শাঁখটা অল্প কামড়েছে, তাও দিব্যি আওয়াজ বেরোচ্ছে, শাঁখের মতোই অনেকটা, মোটেই রেফারির হুইশ্লের মতো নয়। তারপর মেয়েদের চামড়ার চটির ওপর কুকুরদের জন্মগত দুর্বলতা, কে না জানে! আর ঐ ফিল্মের প্লাস্টিক, কুকুরে মুখ দেওয়ার জন্যেই তো ওর সৃষ্টি। মুমু ঘুমিয়ে ছিল বাঁ-কাতে, ওর ডানদিকের নাকটা একটু চেটেছে, সেখানে সেইজন্যে নাকি ওর ব্লিস্টার গজিয়ে গেছে, ডানদিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে নাকি শ্বাস নিতেই পারছে না!
মা-মুমু দুজনেই একযোগে কেঁদোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলো, ফলে এক সন্ধ্যেবেলা বাড়িতে কোর্ট বসলো। বাবা এখানে বিবাদীপক্ষ, আমি বাবার উকিল।
ওরা কেঁদোর এগেইন্সটে ওদের যাবতীয় সমস্যা সাতকাহন করে বলল। বাবা শুধু একবার আমার দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে জানতে চাইল, আমার জবাব রেডি তো? নাকি এক্সট্রা সময় চাইতে হবে? আমি চোখ দিয়েই বললাম, চিল ড্যাড।
নারায়ণ সান্যালের মিস্টার পি কে বসু বার-আট-ল’র মতো গলাটা ঝেড়ে আমি মুমুকে বললাম, তোরা যে এত রবি ঠাকুরের গান গাস, সব বৃথা। তোরা ওঁর কথাই বুঝিস না, ওঁকে মানিসও না।
মুমু প্রতিবাদ করে উঠল। মা বলল, অবান্তর কথা বলো না, কী বলতে চাইছ?
আমি বললাম, রবিবাবু কী বলে গেছেন? ‘এ সহে বই-শাঁখ, এ শো হে’। অর্থাৎ বই, শাঁখ এরা সহ্য করতে পারে কুকুরের অত্যাচার। দেখছই তো, চিবানোর পরেও বই পড়া যাচ্ছে, শাঁখও বাজছে। এটা একটা শোয়ের বেশি কিছু নয়।
বাবা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো। আমি কন্টিনিউ করলাম, তার পরে আর কী বললেন? ‘তা পোষো, নিঃশ্বাস বাঁয়ে’। অর্থাৎ বলছেন, তবুও কুকুর পোষো, আর নাকের বাঁদিকের ফুটো দিয়ে নিঃশ্বাস নাও। ডানদিকে চেটেছে তো কী হয়েছে, বাঁদিকেরটা তো অক্ষতই আছে। আর কী? ‘মুমুর শ্যু-রে দাও উড়ায়ে’, বলে আমি মুমুর আধখাওয়া চামড়ার জুতোটা উড়িয়ে ছুঁড়ে দিলাম বাইরে। ‘বৎস, Ray-র আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক’, মানে সত্যজিতের ঐ পুরনো প্লাস্টিকের ছাইপাঁশ আজকেই ফ্যাল ঘর থেকে, না হলে কেঁদো আরো কামড়াবে।
এরপর বাবা-মা’র দ্বন্দ্ব বেধে গেল। মা’র মতে, বাবা আমাকে পুরো উকিল বানিয়ে ফেলেছে। বাবার মতে, রবীন্দ্রচর্চায় আমি মারও এক কাঠি ওপরে।
পুরো ঘেঁটে ঘ হয়ে গেল, না? এ সব রবীন্দ্রচর্চার কুফল। রবীন্দ্রচর্চা তুঙ্গে ওঠে পঁচিশে বৈশাখে, সেটাই স্বাভাবিক। কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করিতে হইয়াছিল, তিনি মরেন নাই। কবির জন্মদিনেও তাঁকে তেমনি ব্যবচ্ছেদ করা হয় ছুরি-কাঁটা দিয়ে, তার শুরু হয় কিছুদিন আগে থেকেই, মহালয়ার মতো কবিপক্ষ শুরু হতেই। তাছাড়া পয়লা বৈশাখও বেশ লালকালির দিন, বছরের প্রথম দিন বলে কথা, সেদিনও বাঙালিরা সংস্কৃতি নিয়ে চেটেচুষে খায়। সে বিষয়েও একখান গল্প শুনে ফেলুন।
৩। আবাহনী
বলেছিলাম পয়লা বৈশাখ পড়ছে মধ্যে, সেদিন অফিস ছুটি থাকবে, শুনলো না, কলকাতা আপিসে এসে হাজির বিদেশী সাদা চামড়ার বড়বাবু। কী আর করা, গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকারটাকে বললাম, বাবু যা খেতে চায়, ভালোমন্দ খাওয়াস। যদি বেরোতে চায়, আমাকে একটা ফোন করিস।
সেই পয়লা বৈশাখে সন্ধ্যে অবধি ফোন আসেনি। আমিই সন্ধ্যেবেলা হাজির হলাম গেস্ট হাউসে।
গিয়ে দেখি, মালটা দিব্যি আছে, টিভিতে বাংলা চ্যানেলের প্রোগ্রাম দেখছেন। হঠাৎ উঠে গিয়ে একটা চিরকুট বের করে আমাকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আর ইউ শ্যিওর দিস ওয়াজ পেন্ড্ বাই টেগোর?
দেখি, লেখা আছে, Yes, oh. Hey boy, suck. Yes, o yes, show.
আমি বললাম, হোয়্যার ডিড ইউ গেট ইট ফ্রম?
বললেন, টিভিতে এই চ্যানেলেই প্রোগ্রাম দেখছিলেন। একটা গানের সঙ্গে দুলে দুলে কতগুলো নাইসলি ড্রেস্ড্ ইয়াং গার্ল্স্ বডি মুভমেন্ট করছিল। কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞেস করলে, সে বলেছে টেগোর সং।
আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আই থট টেগোর ওয়াজ অ্যা ফিলোজফার।
আমি আর কী বলি! বৈশাখের আহ্বান-সঙ্গীতের কী দশা করেছে এই ম্লেচ্ছ!
ইংরেজদের হাতে, মানে কানে পড়ে রবি ঠাকুরের বৈশাখী লাইনের দশা তো দেখলেন। ইংরেজরা ভারত শাসন করেছিল একশো নব্বই বছর, তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের জীবনের পুরো আশি বছর ছিল। কবি বেশ কয়েকবার ও-দেশে গেছিলেন, বাংলা গীতিকবিতার মর্ম ওদের বোঝানোর জন্যে কষ্ট করে ‘গীতাঞ্জলি’ ট্র্যানশ্লেশন করে নিয়ে গেছিলেন। সেই সময়ের একখান গল্প দিয়ে এবারের বাংলা পানের গল্পগাছা শেষ করব। এ রকম গল্প আমার স্টকে আরো অনেক আছে, সময়মত শোনানো যাবে।
৪। ইংল্যান্ডে রবীন্দ্রনাথ
ইংল্যাণ্ডে গেছেন কবি, উঠেছেন এবার এক নতুন অতিথিশালায়। আবিষ্কার করলেন, ওহো, সকালে যে বিশাল পেয়ালায় চা নিয়ে তিনি লিখতে বসেন, সেটাই সঙ্গে আনা হয়নি। মহা মুশকিল। রাণীর কাছে খবর যেতে তিনি অর্ডার দিয়ে একদিনের মধ্যেই আর একটি বৃহদাকার পেয়ালা কবিকে উপহার দিলেন। সেই পেল্লায় পেয়ালায় চা নিয়ে কবি কাগজপত্র নিয়ে লেখার টেবিলে বসেছেন, খেয়াল হলো, জোব্বাটা ঠিকমতো ইস্তিরি করা নেই। মখমলি সুতির জোব্বা, কুঁচকে থাকলে কেমন দেখায়? তাঁর খাসকামরায় একটি ইস্তিরি রয়েছে বটে, নিজেই আয়রণ করে নিতে পারবেন, কিন্তু একটু স্টার্চ না দিলে সুতির কাপড়ে ভালো ইস্তিরি হয় না।
চাকরকে বললেন, একটু ভাতের ফ্যান জোগাড় করে আন তো।
চাকর আগের দিনই দেখেছে, কবির ছোটখাটো বা অল্প জিনিসে মন ওঠে না। চা খান একসাথে লিটার খানেক। সে কাছের এক হোটেলে গিয়ে তাদের রান্নাঘর থেকে সাত-আটটা পাচককে দিয়ে বইয়ে আনালো এক বিশাল গামলায় পঞ্চাশ-ষাট লিটার ফ্যান, পুরো হোটেলের আবাসিকদের জন্যে রান্না ভাতের ফ্যান।
কবি চটলেন না, তাঁর মাথায় এসে গেল গান। তিনি লিখলেন, "আমি মাড়ের সাগর পারি দেবো গো..."
বিধিসম্মত সতর্কীকরণ : এই গল্পগুলো বাচ্চাদের সামনে কাউকে শোনানোর হলে সাবধানে করবেন। তারা যদি সত্যি বলে ভেবে নিয়ে পরীক্ষায় ‘ইয়োর ফেভারিট পোয়েট’ রচনায় এসব গুঁজে দেয় আর তার জন্য ল্যাঙ্গুয়েজ টীচার আপনাকে ডেকে পাঠান, কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় কিন্তু। আর হ্যাঁ, পানাসক্তি (pun + আসক্তি) যদিও বা মেনে নেওয়া যায়, বেশ্যাসক্তি (বেশি + আসক্তি) নৈব নৈব চ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন