মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৩

১১ রবীন্দ্র গুহ

অতর্কিতে হারিয়ে যাওয়া
রবীন্দ্র গুহ


মাতাল বালিকার বুকে সুধাবিষ ঢেলে যৌবন চলে যায়
ভেংচি কেটে। নিকটতম বন্ধু অথচ বিপরীতে শত্রু, যার
বর্ণরোপিত মুখ ভ্রূ নাচায় শ্বেতপত্র ওড়ায় বাতাসে, আড়ালে
স্বগতোক্তি করে : ‘যে জীবনের কোনো গঠন নেই তার কোনো বৃত্তপর্বের
দিনলিপি নেই’।
সকাল বিকেল নেই অন্ধের বুকে
নিত্যনাম সর্বত্র অসময় অনাদরের স্মৃতি –- তর্জমাহীন তীব্র সেই
স্মৃতির ভিতর অনন্তের মৌনমুখ শুষে নেয় শরীর থেকে সুধাবাষ্প
ভালোবাসা অভ্যাসবশত পরকীয়া স্বাদ পেতে চায়
সুখের ধারাপাত এইভাবেই শুরু সরলরেখায় অন্য সব অবান্তর,
কপালে নিসর্গের বহুবর্ণ ছায়া, আর কোনো দুঃখ নেই স্বপ্ন নেই
মানচিত্রে পুরাতনী প্রেম চুপসা হয়ে আছে, তাকে ঘিরে অনিবার্য মায়া—
মঞ্চ থেকে নেমে করমর্দন হলো ইচ্ছা অনিচ্ছায়
আজ বাস্তুছুট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন