মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৩

০৪ রত্নদীপা

কবি ও কবিতা -- সম্পর্কের হীরেমুক্তো
রত্নদীপা


কবি প্রথমবার যখন পুরী গেলেন তখন সমুদ্র লিটারেলি অন্তঃসারশূন্য মাকাল ফল অথচ সেখানে গিয়েই তিনি প্রথম কবিতার সঙ্গে একা হলেন আর কবিতা থেকে উঠে আসার পর যে কোনো ডুবুরিকে তাঁর মনে হলো সন্দেহজনক...

... লোকে বলে কবির চেহারার সাথে বৃক্ষের অনেক মিল। সবুজ পরচুলো, প্রাপ্তবয়স্ক পাহাড়, কোথাও ঝোপঝাড় জঙ্গল, পেন্সিলে আঁকা নতুন চামড়া যেন গজানোর আগেই এক ধাপ থেকে আরেক ধাপে ডিঙিয়ে যাওয়া চকচকে, গোপন ধনেশ ঘুরে ফিরে জ্বরের দোহারা...

অবসর দীর্ঘ হয়ে উঠলে কবিতা শুয়ে বসে সাঁটে কমলারঙ। বেরুবার যো নেই, শিকার করা কিছু নিব লাগানো কলম আর পাখি লাগানো আকাশের স্কোয়ারফিট... কমলালেবুর তাপমাত্রা হেরফের হতেই কবি টের পেলেন... এইবার তিনি পাচার হয়ে যাচ্ছেন ঢাল তরোয়াল সমেত পারদস্তম্ভের আড়ালে।
 
----------------------------------------------------------------------------------------------------------

লোকে বলে যে কোনো দুর্গই কবির জন্যে দুর্গম, অঙ্ক না জানা শালিখ যেমন সিঁড়িভাঙাটি ঠোঁটে নিয়ে কেবল নাড়াচাড়া করে, কবির রুমাল ভেদ করে স্বপ্নপিঁপড়ে... আজন্ম চেনা কবিতাগুলো হাতড়ে হাতড়ে গুহার দরজায় কবি ঝুলিয়ে রাখেন নোটিশের গুণিতক... তবু খুলির ভেতরে ইনিয়ে বিনিয়ে ব্যালকনি, অল্প দূরত্বে কোমর সরু হওয়া সমুদ্রে পাল্টে যায় গ্রাফাইট চোঁয়ানো খরগোশ...

খরগোশ সামুদ্রিক প্রাণী নয় অথচ পুরীতে গিয়েই কবি প্রথম জানতে পারলেন জবুথবু সাদা পাথরের নাড়ী কেটেই সমুদ্রের জন্ম আর ঢেউয়ের মিলিমিটার মানে মাটির সাথে লাগানো খরগোসের হাইওয়ে ...

সমুদ্র থেকে ফিরে কবি বিবৃতি দিলেন এইভাবেই আর কেঁপে উঠলো নিশিবাসে শুয়ে থাকা কবিতার বাংলাফন্ট...


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন