হৃদি ভেসে যায়...
সাঁঝবাতি
আমি তো পিছন থেকেই ডেকেছিলাম
আমি তো পিছন পিছন ডেকেছিলাম
তুমি আমার চোখ দেখতে পাওনি...
(১)
মা হয়তো জানতো আমি অ্যাসেক্সুয়াল। একদিন আমায় ডেকে একটা মেয়েকে দেখিয়ে বলল, “মেয়েটার চোখের দিকে তাকিয়েছিস?” আমার ঘড়ি এত জোরে ছোটে, আমার পিছন দিকে তাকানো হয়নি। কিন্তু একটা বৃষ্টির দিনে একটা স্মাজ হয়ে যাওয়া কাজল চোখ আমায় বারবার হন্যে হয়ে বলতে চেয়েছিল -- “কেন তাকাসনি আমার দিকে এতদিন?” টিভিতে ওকে দেখে মনে হয়েছিল, সেই ‘হাউস অফ টাইম’ ঘড়ির দোকানটার কথা। যার নাম পড়া মাত্র মনে হয় যেন সব সময় একসাথে থেমে গেছে।
“ মা, আমি বিয়ে করব...............”
মা বলল, ওর সাথে গৌরবের বিয়ে হয়ে গেছে।
(২)
দুপুর ১.৩০
চোখকে শাসন করে চলেছি। অন্যের প্রেমিকার পায়ে চোখ চলে যাওয়াই পাপ। এতদিন পর কাজলনয়না অনিন্দিতা ওয়াইস আউল কফিশপে আমার সামনের টেবিলে বসে। ক্যাফে মোকাচিনো, ফোমগুলো ঠিক ওপরের ঠোঁটে লেগে গেল ওর। পাপের মতো, উফফ্! আমি দূর থেকে ইশারায় জিভ বের করে ওপরের ঠোঁট চেটে নিলাম। যাওয়ার আগে অনিন্দিতা দেবীসুলভ অবজ্ঞার হাসি দিয়ে বেরিয়েছিল। চারদিকে কী অসহ্য রোদ্দুর! জামা ভিজে উঠছে।
আমার আগেও ওর চোখের দিকে তাকানো হয়নি, এখনো তাকাতে পারলাম না।
দুপুর ২.৩০
ছোট চুলের শ্যামলা একটা মেয়ে অনিন্দিতার ফেলে যাওয়া টেবিলে হেমন্তের মতো এসে বসলো, বড্ড সাধারণ কোণঠাসা ঋতুর মতো। এক কাপ কফি খেতে খেতে একমনে তাকিয়েছিল। আমার ওসব দেখার সময় নেই। তিন্নি আর সুমনের সামনে ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’ গাইতে গাইতে আমার গিটারে বেজে উঠলো সময়। আমার অ্যাসেক্সুয়ালিটি আবার ফিরে আসছে প্লেকটামে...
বিকেল ৫.৩০
ওয়াশরুমে যাওয়ার মুখে দেখা হয়ে গেল হেমন্তের সঙ্গে। দূরে কোথাও একটা সোঁদা গন্ধ ভেসে আসছিল।
“ আপনার গান বেশ ভালো লাগলো। মহিনের ঘোড়াগুলি আমার ফেভারিট”।
আমার সময় পালিয়ে যাচ্ছে। আমায় দৌড়তে হবে। হেমন্ত বলল -–
“ আমার চোখের কাজলটা... ঘেঁটে গেছে... মুছে দেবেন প্লিজ্?”
এবার আমি সরাসরি চোখের দিকে তাকালাম। অনেক দেরি করে ফেলেছি। এবার আর ভুল নয়।
“ আপনার নাম?”
“অনিন্দিতা। অনিন্দিতা ব্যানার্জ্জী...।”
আমার গায়ে একফোঁটা বৃষ্টি পড়ল
সাঁঝবাতি
আমি তো পিছন থেকেই ডেকেছিলাম
আমি তো পিছন পিছন ডেকেছিলাম
তুমি আমার চোখ দেখতে পাওনি...
(১)
মা হয়তো জানতো আমি অ্যাসেক্সুয়াল। একদিন আমায় ডেকে একটা মেয়েকে দেখিয়ে বলল, “মেয়েটার চোখের দিকে তাকিয়েছিস?” আমার ঘড়ি এত জোরে ছোটে, আমার পিছন দিকে তাকানো হয়নি। কিন্তু একটা বৃষ্টির দিনে একটা স্মাজ হয়ে যাওয়া কাজল চোখ আমায় বারবার হন্যে হয়ে বলতে চেয়েছিল -- “কেন তাকাসনি আমার দিকে এতদিন?” টিভিতে ওকে দেখে মনে হয়েছিল, সেই ‘হাউস অফ টাইম’ ঘড়ির দোকানটার কথা। যার নাম পড়া মাত্র মনে হয় যেন সব সময় একসাথে থেমে গেছে।
“ মা, আমি বিয়ে করব...............”
মা বলল, ওর সাথে গৌরবের বিয়ে হয়ে গেছে।
(২)
দুপুর ১.৩০
চোখকে শাসন করে চলেছি। অন্যের প্রেমিকার পায়ে চোখ চলে যাওয়াই পাপ। এতদিন পর কাজলনয়না অনিন্দিতা ওয়াইস আউল কফিশপে আমার সামনের টেবিলে বসে। ক্যাফে মোকাচিনো, ফোমগুলো ঠিক ওপরের ঠোঁটে লেগে গেল ওর। পাপের মতো, উফফ্! আমি দূর থেকে ইশারায় জিভ বের করে ওপরের ঠোঁট চেটে নিলাম। যাওয়ার আগে অনিন্দিতা দেবীসুলভ অবজ্ঞার হাসি দিয়ে বেরিয়েছিল। চারদিকে কী অসহ্য রোদ্দুর! জামা ভিজে উঠছে।
আমার আগেও ওর চোখের দিকে তাকানো হয়নি, এখনো তাকাতে পারলাম না।
দুপুর ২.৩০
ছোট চুলের শ্যামলা একটা মেয়ে অনিন্দিতার ফেলে যাওয়া টেবিলে হেমন্তের মতো এসে বসলো, বড্ড সাধারণ কোণঠাসা ঋতুর মতো। এক কাপ কফি খেতে খেতে একমনে তাকিয়েছিল। আমার ওসব দেখার সময় নেই। তিন্নি আর সুমনের সামনে ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’ গাইতে গাইতে আমার গিটারে বেজে উঠলো সময়। আমার অ্যাসেক্সুয়ালিটি আবার ফিরে আসছে প্লেকটামে...
বিকেল ৫.৩০
ওয়াশরুমে যাওয়ার মুখে দেখা হয়ে গেল হেমন্তের সঙ্গে। দূরে কোথাও একটা সোঁদা গন্ধ ভেসে আসছিল।
“ আপনার গান বেশ ভালো লাগলো। মহিনের ঘোড়াগুলি আমার ফেভারিট”।
আমার সময় পালিয়ে যাচ্ছে। আমায় দৌড়তে হবে। হেমন্ত বলল -–
“ আমার চোখের কাজলটা... ঘেঁটে গেছে... মুছে দেবেন প্লিজ্?”
এবার আমি সরাসরি চোখের দিকে তাকালাম। অনেক দেরি করে ফেলেছি। এবার আর ভুল নয়।
“ আপনার নাম?”
“অনিন্দিতা। অনিন্দিতা ব্যানার্জ্জী...।”
আমার গায়ে একফোঁটা বৃষ্টি পড়ল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন