প্রতিবিম্ব
নীতা বিশ্বাস
ক্ষরণ, ঝরন, বরণ, প্রতিসরণ, মরণ -– গুচ্ছের এই শব্দগুলো মহারণ সৃস্টি করতে থাকলে রণি ঘরের দরজার ল্যাচ বন্ধ করে দিয়ে কমপিউটারের ইউটিউবে ক্লিক করে। ফেব্রিকবিহীন অপ্সরারা আস্তে আস্তে ওর মাথা ঠান্ডা করে বটে, তবে সেই সময় ওর জিভের নিচে থার্মোমিটার ধরলে, শরীরের তাপ ১০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের কাছে পৌঁছে যায়। তপের তাপের বাঁধন কিছুটা কাটে ইউটিউবাহিত রসের বর্ষণে। শনশন তীব্র তীর মুহূর্তে এফোঁড় ওফোঁড় শরীরে ক্ষত বিন্যস্ত আবার ক্ষত এবং এদের ঠেকিয়ে রাখার শরীরী আত্মখেলা শেষে ডেল স্টেইন-এর গেঁদবাজির উর্ধাঙ্কের গতিযুক্ত ক্লান্তি শ্রান্তি বিভ্রান্তি রণিকে ঘিরে নিয়ে তুঙ্গ নৃত্য করে।
খাবার টেবিলে বাবা, -- দু একটা সিগারেট খেতেই পারিস।
চমকে বাবার দিকে… মা, রে রে -- নিজের ছেলেকে এই শেখাচ্ছো?
বাবা -- শেখাতে হবে না, যা যা শেখবার, ও নিজেই...
বাবার দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারছে না রণি। সন্ধ্যের ব্যাপারটা, আরো অনেক অন্য সময়ের রকম-সকম বাবা বুঝতে পেরে যাচ্ছে। একটা দেওয়াল চাই। ওয়াল। পাঁচিল। চিলের মতো উড়ে যেতে যদি…
সেখানে তো হা-হা মুক্ত। ওয়াল কোথায় পেতিস রে বোকা! তাই তো!
রণি রণিইইই -– মায়ের ভীত চিৎকার, সানশেডে নামিস না, কাটা ঘুড়ি কুড়োতে হবে নাআআআ, মা ককিয়ে উঠত। যেন পড়েই গেছে। ল্যাংড়া হয়ে গেছে রণি। কেন নামা-ওঠার রিস্ক নিতে দাওনি মা। দুনিয়া চেনাওনি। কামিনীফুলের গাছে বুলবুলির ছেলে মেয়েরা জন্মেছে, পোকা খাওয়াতে দাওনি। আমার সফ্ট্-কর্নার বলে কিছু রাখোনি। বাবা আমাকে চিনে ফেলেছে কেমন সহজে। বলেছে, স্ট্রেইন নিস না বেটা! ছোট্ট করে একটা অ্যালকোহল নিবি? ভোদকা?
তুমি নিজেও কি নিতে বাবা?
ক্ষরণ, ঝরন, বরণ, প্রতিসরণ, মরণ -– গুচ্ছের এই শব্দগুলো মহারণ সৃস্টি করতে থাকলে রণি ঘরের দরজার ল্যাচ বন্ধ করে দিয়ে কমপিউটারের ইউটিউবে ক্লিক করে। ফেব্রিকবিহীন অপ্সরারা আস্তে আস্তে ওর মাথা ঠান্ডা করে বটে, তবে সেই সময় ওর জিভের নিচে থার্মোমিটার ধরলে, শরীরের তাপ ১০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের কাছে পৌঁছে যায়। তপের তাপের বাঁধন কিছুটা কাটে ইউটিউবাহিত রসের বর্ষণে। শনশন তীব্র তীর মুহূর্তে এফোঁড় ওফোঁড় শরীরে ক্ষত বিন্যস্ত আবার ক্ষত এবং এদের ঠেকিয়ে রাখার শরীরী আত্মখেলা শেষে ডেল স্টেইন-এর গেঁদবাজির উর্ধাঙ্কের গতিযুক্ত ক্লান্তি শ্রান্তি বিভ্রান্তি রণিকে ঘিরে নিয়ে তুঙ্গ নৃত্য করে।
খাবার টেবিলে বাবা, -- দু একটা সিগারেট খেতেই পারিস।
চমকে বাবার দিকে… মা, রে রে -- নিজের ছেলেকে এই শেখাচ্ছো?
বাবা -- শেখাতে হবে না, যা যা শেখবার, ও নিজেই...
বাবার দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারছে না রণি। সন্ধ্যের ব্যাপারটা, আরো অনেক অন্য সময়ের রকম-সকম বাবা বুঝতে পেরে যাচ্ছে। একটা দেওয়াল চাই। ওয়াল। পাঁচিল। চিলের মতো উড়ে যেতে যদি…
সেখানে তো হা-হা মুক্ত। ওয়াল কোথায় পেতিস রে বোকা! তাই তো!
রণি রণিইইই -– মায়ের ভীত চিৎকার, সানশেডে নামিস না, কাটা ঘুড়ি কুড়োতে হবে নাআআআ, মা ককিয়ে উঠত। যেন পড়েই গেছে। ল্যাংড়া হয়ে গেছে রণি। কেন নামা-ওঠার রিস্ক নিতে দাওনি মা। দুনিয়া চেনাওনি। কামিনীফুলের গাছে বুলবুলির ছেলে মেয়েরা জন্মেছে, পোকা খাওয়াতে দাওনি। আমার সফ্ট্-কর্নার বলে কিছু রাখোনি। বাবা আমাকে চিনে ফেলেছে কেমন সহজে। বলেছে, স্ট্রেইন নিস না বেটা! ছোট্ট করে একটা অ্যালকোহল নিবি? ভোদকা?
তুমি নিজেও কি নিতে বাবা?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন