দুটি কবিতা
অজিত দাশ
বিরহ দর্শন
কল্যাণীয়া চলে যাবে...
মিথ্যে ঠাকুরের নাম নিয়ে
সর্বনাশ করি প্রেমের
সিঁদুর কৌটোর মতো
বিশেষ ‘রঙ’ জমিয়ে দেখি
দস্যুতা ছেড়ে ধূপ-চন্দন
ভালোবাসেন বন্ধ্যা ঈশ্বর
আমি রক্তজবা তুলে নিই
উঠোনের এক কোণে
তুলসী ছিঁড়ে হাতে নিয়ে ডাকি
কল্যাণীয়া দেখো?
ঠাকুরঘর পাশ কাটিয়ে
তোমার শুদ্ধ অভিমান ভালোবাসি...
কমলারঙের রোদ
শেষ কবে এসেছিলে জলপাইগুড়ি? শুনেছ, দিদি এসেছে! একটা কালো বোতল, ছিপি খুলে এক আধটুকু দিয়েছে মুখে তুলে -- হাপিত্যেশ জীবনীশক্তি। এখন বেকার বসে থেকে লাভ নেই, জানালায় তাকালে আকাশের চেয়ে স্পষ্ট চোখে ভাসে জোড়া সুপারি গাছ, দিদির নাকফুল হারিয়ে যাওয়া বিকেল, শ্মশানের জংলায় এদিক ওদিক ঘোরা। তুমিও কি স্পষ্ট আকাশ দেখ...! কেমন আছে আজিমপুর? গোরস্থানের আনুষ্ঠানিকতা? লবণ জলে ভেসে যাওয়া শরীর, ব্যস্ত দিনের অজুহাত, পুরনো হয়ে গেছে সব। ভাঁটফুলে মাখা মৃতের সন্ধি মনে রাখার গল্প করো। পারলে, তুমিও পাঠিয়ে দিও একটু অন্যমনস্ক স্মৃতি কিংবা কমলারঙের রোদ।
অজিত দাশ
বিরহ দর্শন
কল্যাণীয়া চলে যাবে...
মিথ্যে ঠাকুরের নাম নিয়ে
সর্বনাশ করি প্রেমের
সিঁদুর কৌটোর মতো
বিশেষ ‘রঙ’ জমিয়ে দেখি
দস্যুতা ছেড়ে ধূপ-চন্দন
ভালোবাসেন বন্ধ্যা ঈশ্বর
আমি রক্তজবা তুলে নিই
উঠোনের এক কোণে
তুলসী ছিঁড়ে হাতে নিয়ে ডাকি
কল্যাণীয়া দেখো?
ঠাকুরঘর পাশ কাটিয়ে
তোমার শুদ্ধ অভিমান ভালোবাসি...
কমলারঙের রোদ
শেষ কবে এসেছিলে জলপাইগুড়ি? শুনেছ, দিদি এসেছে! একটা কালো বোতল, ছিপি খুলে এক আধটুকু দিয়েছে মুখে তুলে -- হাপিত্যেশ জীবনীশক্তি। এখন বেকার বসে থেকে লাভ নেই, জানালায় তাকালে আকাশের চেয়ে স্পষ্ট চোখে ভাসে জোড়া সুপারি গাছ, দিদির নাকফুল হারিয়ে যাওয়া বিকেল, শ্মশানের জংলায় এদিক ওদিক ঘোরা। তুমিও কি স্পষ্ট আকাশ দেখ...! কেমন আছে আজিমপুর? গোরস্থানের আনুষ্ঠানিকতা? লবণ জলে ভেসে যাওয়া শরীর, ব্যস্ত দিনের অজুহাত, পুরনো হয়ে গেছে সব। ভাঁটফুলে মাখা মৃতের সন্ধি মনে রাখার গল্প করো। পারলে, তুমিও পাঠিয়ে দিও একটু অন্যমনস্ক স্মৃতি কিংবা কমলারঙের রোদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন