বাংলার ডেডবডি
দিশারী মুখোপাধ্যায়
ঠিক যে দিক থেকে ওটা ভেসে এলো সে দিকে কাউকে দেখা
যায়নি, একটা আকার বিহীন ছায়া খুব মুখরিত ভাবে মৌন
ছিল, কিন্তু কেউ তাকে সনাক্ত করতে পারেনি বা তেমন কোনো
প্রয়োজনও অনুভব করেনি কেউ। আর একটা মরা নদী,যেটা
ওখান দিয়ে প্রবাহিত হতো এককালে, -- যেরকম স্বপ্ন আছে বলেই
এখনো দুর্গন্ধ না বললে বা একটা বিকট মুখভঙ্গি না করলে
গন্ধ বলতে সবাই ভালোগন্ধকেই বোঝায় বা অন্তত(সব সম্ভাবনার
কথা মাথায় রেখেই বলা যায়)খারাপগন্ধের কথা কেউ ভাবে না ,
নদীটা গাছে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়েছিল আর লক্ষ্য করছিল আমাদের
নিরপেক্ষ বিহীনতা।
কেউ মরে গেলেই তো আর সে সম্পূর্ণভাবে মারা যায় না,
একটু আধটু বেঁচে থাকতে পারে কিম্বা একথা কে না জানে
কেউ কেউ মরে গিয়ে বেশি করে বেঁচে ওঠে, যেমন একটা ঘটনা
ঘটেছে এই নদীটার ক্ষেত্রে, সে বেঁচে আছে আর মরে যাওয়ার পর
বেঁচে থাকাকে অনুভব করতে করতে বুঝতে পারছে, কী ভীষণ রকম
ভাবে দিন দিন মরে যাচ্ছি আমরা, আমাদের শঙ্খ, আমাদের হাওয়া,
আমাদের সরস্বতী -- সব মারা গেছে, মারা যাচ্ছে, মরে যাওয়ার
পরেও মারা যাচ্ছে বারবার।
আমাদের দিন রাত একাকার বাংলার ডেডবডি নিয়ে...
দিশারী মুখোপাধ্যায়
ঠিক যে দিক থেকে ওটা ভেসে এলো সে দিকে কাউকে দেখা
যায়নি, একটা আকার বিহীন ছায়া খুব মুখরিত ভাবে মৌন
ছিল, কিন্তু কেউ তাকে সনাক্ত করতে পারেনি বা তেমন কোনো
প্রয়োজনও অনুভব করেনি কেউ। আর একটা মরা নদী,যেটা
ওখান দিয়ে প্রবাহিত হতো এককালে, -- যেরকম স্বপ্ন আছে বলেই
এখনো দুর্গন্ধ না বললে বা একটা বিকট মুখভঙ্গি না করলে
গন্ধ বলতে সবাই ভালোগন্ধকেই বোঝায় বা অন্তত(সব সম্ভাবনার
কথা মাথায় রেখেই বলা যায়)খারাপগন্ধের কথা কেউ ভাবে না ,
নদীটা গাছে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়েছিল আর লক্ষ্য করছিল আমাদের
নিরপেক্ষ বিহীনতা।
কেউ মরে গেলেই তো আর সে সম্পূর্ণভাবে মারা যায় না,
একটু আধটু বেঁচে থাকতে পারে কিম্বা একথা কে না জানে
কেউ কেউ মরে গিয়ে বেশি করে বেঁচে ওঠে, যেমন একটা ঘটনা
ঘটেছে এই নদীটার ক্ষেত্রে, সে বেঁচে আছে আর মরে যাওয়ার পর
বেঁচে থাকাকে অনুভব করতে করতে বুঝতে পারছে, কী ভীষণ রকম
ভাবে দিন দিন মরে যাচ্ছি আমরা, আমাদের শঙ্খ, আমাদের হাওয়া,
আমাদের সরস্বতী -- সব মারা গেছে, মারা যাচ্ছে, মরে যাওয়ার
পরেও মারা যাচ্ছে বারবার।
আমাদের দিন রাত একাকার বাংলার ডেডবডি নিয়ে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন