বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

প্রশান্ত গুহমজুমদার

 

কবিতার কালিমাটি ১৪৫


শুকতারা

এইসব স্বাদ আর কোনদিন। এইসব ঘুঙুরের ভাঙচুর। নক্ষত্র সব ক্রমে সন্ধ্যা। বড়ো অসময়ে, দ্রুত। চলে যায় দরজা, জানালা। শুকতারা, আজ বুঝি, এইরূপ। কেবলই লন্ঠনের কথা। মাঠের ছায়া। আর অলীক এক ডাক। তাহাকে কী আমিই! তাই কি এইরূপ আচম্বিতে সাপ! এবং রেখে যায় অঙ্ক? অসমাপ্ত, তীক্ষ্ণ, চেরা। জল, সাদা, আহ্বানে। ভাঙিতে থাকি আলো, ছায়া, সাধগুলি, আজন্মের। দুই হাতে খেলা করি। আঙুলেই। ক্ষিতি অপ তেজ মরুত ব্যোম। বস্তুত আলোসব। দেখি, তাহাদের চলাচল। তাহাদের তারণ। তাহাদের অপেক্ষার মধুর।

ক্ষত

আবিষ্কারযোগ্য নাই আর স্থলপদ্ম। পথ পথের দিকে এবং পথ। মেদুর এবং ঈষৎ। বিকাল এবং অসভ্যের        ঘরবাড়ি। জল ক্রমশ গভীরে এবং সেই সপ্তমে তার। অর্থাৎ জলের অভ্যন্তরে জল দেখিতেছিলাম। পথ পথের মতো। আর আমি আমার শব্দেই। ইহা উপভোগ্য এবং যারপরনাই কঠিন। সেইখানে পদ্ম নাই। দুপুর এবং অনিন্দ্য নাভি। ইহাকে কী ক্ষত বলা যায়! ঋণ! অথবা বলা যায় 'ফিরিয়ে নে'! খেলা করি। ইহাতে অপরের রাত্রি এবং তার জন্য অশেষ শুভেচ্ছা। ভাসিতে থাকে। শিলালিপি অথবা যদি বুদ্ধ-লিখিত চিঠি! মেঘের উপরে সেইসব স্মৃতি সুজাতা দেখিয়াছিল?

বাজিকর

এই যে শরীর হইতে জল। অথবা জল এবং শরীর। ক্রমে ব্যোম। পাখি ডাকে। যেহেতু অলকানন্দা ওইখানে। বর্ণ তাহার বাজিকর। রেণুসব প্রশ্নহীন। কেবল সিঁড়িসব বিকালের জন্য অশেষ। আর পথ। ন্যায়ের ঝান্ডায় নীল এবং স্যাফ্রন সভ্যতা। আত্ম এবং আধ্যাত্মিক পেটিকায় বর্তমানে। জলেই এইরূপ হয়। সেইখানেই ভাঙা আর্শি। বাহবা বাহিতে বাহিতে শিশু। লৌকিক হইতে ধীরে লৌহশকটে। বাজনা বাজিতে থাকুক।

মেঘ

ইদানীং আশ্রয় খুঁজি। পথে চলাচল এবং অসূয়া। ছবির সামনে স্থির হই। রঙের ভিতর হইতে বর্ণ এবং বিবিধ মুখ। আশ্রয় কাঁপিতেছে। শ্রম এখন কাগজে, ছিঁড়িতে তৎপর। যেরূপ ওই ঘুড়ি। ঘুড়িতেছে, কিন্তু মতলবে ঐ আকাশ। কাশফুল সামান্য দ্যাখে, বালি দ্যাখে, অশ্রু আসিয়া বসে সাদায়। আজ আর কোনো দিগন্ত নাই। অন্তে বিন্দুসব নীল মাখে। মেঘ। গোল গুটিসব সিঁড়ি মাপে। সাপ। ইদানিং ভয় হয়। খুব পুরাতন এক ভয়।

         

 


1 টি মন্তব্য: